জয়পুরহাটে মামলা করে বিপাকে বাদী

জয়পুরহাটের কালাইয়ে ১১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের ২৮ বছর বয়সী এক শিক্ষক জোরপূর্বক বলৎকার করেছে- মর্মে অন্যের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে বাদী বিপাকে পরেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, হাতিয়র-ধাপ গ্রামের সাবু নামের ব্যক্তি তাকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘থানায় গিয়ে মাদ্রাসার হুজুরের (প্রধান শিক্ষক) বিরুদ্ধে ধর্ষণের কথা না বললে তাকে জবাই করা হবে।’ ওই মাদ্রাসায় তাকে লেখাপড়া করতে দেয়া হবেনা। ফলে ভয়ে সে তাদের কথা মতো থানায় জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার বিবরণ, বাদী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়র ধাপপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ১১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের ২৮ বছর বয়সী এক শিক্ষক জোরপূর্বক বলৎকার করেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে, ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বিগত ১৩ অক্টোবর কালাই থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ৭। কিন্তু এজাহার দায়েরের কয়েকদিন পরই বাদী দাবি করেন, এটি একটি মিথ্যা মামলা। যা তিনি উপজেলার হাতিয়র ধাপপাড়া গ্রামের কয়েকজন ব্যাক্তির প্ররোচনা ও ভয়ভীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থানায় রুজু করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি অশিক্ষিত ও গরীব মানুষ। আইন-কানুন সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান তার নেই। এ অবস্থায় তিনি মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। তবে এলাকার অনেকেই দাবি, সাবু একজন মাদকসেবী, টাকার জন্য সে যেকোন কাজ করতে পারে।

মামলার বাদী সাহেরা বিবি জানান, তিনি তার ছেলের সাথে দেখার করার জন্য নিজ গ্রাম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গাংগইট থেকে ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় স্থানীয় সাবু, আবু হাসান, আব্দুল কুদ্দুস, নরুসহ কয়েকজন তাকে মামলা করার জন্য প্রভাবিত করে এবং চাপ দেয়। এ পরিস্থিতিতে তিনি মামলা করতে বাধ্য হন। এ মিথ্যা মামলাটি চালাতে তিনি অনিচ্ছুক এবং অপারগ বলেও জানান। অভিযুক্ত মামুনুর রশীদ সাবু, আবু হাসান, নুরু এবং আব্দুল কুদ্দুস আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম মালিক জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে, তাই এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছুই মন্তব্য করা যাবেনা।

২৫ অক্টোবার, ২০২০ at ১৬:২৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএইচ/এমএএস