গাভি জন্ম দেবে যমজ বাছুর

অচিরেই মাঠপর্যায়ে প্রযুক্তি যাবে আশা প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের

গাভি সাধারণত বছরে একটি বাছুরের জন্ম দেয়। তবে একই সময়ে একটি গাভি থেকে যমজ বাছুর জন্ম দেওয়ার প্রযুক্তিতে সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। ইন ভিট্রো এমব্রায়ো প্রডাকশন বা আইভিইপি নামের এই প্রযুক্তি অচিরেই মাঠপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আশা করছেন তাঁরা।

প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব বলেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রযুক্তি নতুন। প্রাথমিক সাফল্যের পর আমরা এটি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। সফল হলে এটি নিঃসন্দেহে দেশের গরুসম্পদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।’

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, বাংলাদেশে ভালো মানের গাভির দুটি করে বাচ্চার প্রকল্প মাঠপর্যায়ে সফল হলে সেটি গবাদি পশু এবং এর মাধ্যমে গণমানুষের জীবনমানের আরো উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।

গবেষকরা বলছেন, এই প্রযুক্তিতে বেশি দুধ দেয়, এমন গাভি থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে নেওয়া হয়। সেখানে ডিম্বাণুকে পরিপক্ব করে ফার্টিলাইজ করানো হয়। এর ফলে যে ভ্রূণের জন্ম হয়, গবেষণাগারে সেখান থেকে দুটি করে ভ্রূণ ধাত্রী গাভিতে সংস্থাপন করা হয়।

ড. গৌতম কুমার দেব বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সফল হওয়ায় আমরা এখন ভালো মানের এনিম্যাল বাছাই করছি এবং এসব লাইভ এনিম্যাল থেকে ডিম্বাণু কালেকশনের কাজ করা হবে। আমরা আশা করছি, মাঠপর্যায়ে এটি সফল হবে এবং পরে তা আমরা ছড়িয়ে দিতে পারব। একটি সুস্থ ও ভালো মানের গাভির ডিম্বাণু দিয়ে অনেকগুলো গাভির গর্ভধারণ করানো সম্ভব হবে।’

তবে বাংলাদেশে গবাদি পশুর কৃত্রিম প্রজনন নতুন কিছু নয় এবং এসব কাজে সহায়তার জন্য দেশের প্রতি উপজেলায় একজন করে পশু চিকিৎসক আছেন। কিন্তু এই পদ্ধতিতে একটি গাভি থেকে একটি বাছুরই পাওয়া সম্ভব হয়। মূলত জোড়া বাছুর চিন্তাটির গবেষণাগারে সফলতা আসতে থাকে কয়েক বছর আগে। প্রায় চার বছর ধরে পরীক্ষার আওতায় ধারাবাহিকভাবে একটি গাভি থেকে জোড়া বাছুর জন্ম নেওয়ার পর এখন এটি মাঠপর্যায়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষকরা। সূত্র : বিবিসি