ঢাকা-৫ উপনির্বাচন : অনিয়ম ও এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ

ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টায় যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনের মাধ্যমে সালাউদ্দিন তার দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। প্রায় ১৫ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সামনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

বিএনপি প্রার্থী জানান, ৫০নং ওয়ার্ডের ৯ নম্বর কেন্দ্র যাত্রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপির এজেন্টরা গেলে তাদের স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা হয়েছে যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে ভয় পায়।

নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্জন নয় শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থেকে এখনা থেকেই সরকার পতনের আন্দোলনের শুরু করা হবে।

এছাড়াও ৬৮নং ওয়ার্ডের হাজী আদর্শ মোয়াজ্জেম আলী হাই স্কুল, সানারপাড় রুস্তম আলী হাইস্কুল ও ফুলকলি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬৬নং ওয়ার্ডের ভ্যামুইল আইডিয়াল স্কুল, সারুলিয়া ডগাইর দারুস সুন্নত ফাজিল ফাদ্রাসা,৭০নং ওয়ার্ডে ১৮৫নং কেন্দ্র (আমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়), দেল্লা ও ৬৬নং ওয়ার্ডের ১৪৮ ও ১৪৯ কেন্দ্র থেকে বিএনপির সব পোলিং এজেন্টদের পুলিশের সামনেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বের করে দিয়েছে। এদিকে ৪৮নং ওয়ার্ডের সব কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী।

নৌকা সমর্থকরা কেন্দ্রে তাদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ধানের শীষের সমন্বয়কারী মিতু আক্তার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মান্নান হাইস্কুল এন্ড কলেজ, শামীম শিকদার স্কুল এন্ড কলেজ ও সেরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট নেই। মান্নান হাই স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।

ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুর সবুর, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪টি থানা নিয়ে এই আসনটি গঠিত। এগুলো হলো- মতিঝিল (আংশিক), যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও কদমতলী (আংশিক)। এই আসনে ১৪টি ওয়ার্ডে মোট ১৮৭টি কেন্দ্রের ৮৬৪টি কক্ষে ১ হাজার ৯৫টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন ও নারী দুই লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যাওয়ায় ঢাকা-৫ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

১৬ অক্টোবার, ২০২০ at ১২:৩৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভক/এমএআর