ডাকসেবায় আরও ১১ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) সমন্বিত উন্নয়ন সূচকের বার্ষিক র‌্যাংকিংয়ে আবারও ১১ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১৭০টি দেশের মধ্যে ১৫.৮০ পয়েন্ট পেয়ে র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১২৮। গত বছর যা ছিলো ১১৭।

অপরদিকে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অবস্থান বাংলাদেশের ১০ ধাপ ওপরে। ২০১৭ সালেও মিয়ানমার‌ র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ৪৮ ধাপ নিচে ছিল। সে সময় বাংলাদেশের র‌্যাংক ছিল ৭৮ আর মিয়ানমারের র‌্যাংক ছিল ১২৬। মাত্র চার বছর ব্যবধানে বাংলাদেশ ৫০ পয়েন্ট হারিয়ে এখন ১২৮ নম্বরে আর মিয়ানমার আরো ৮ পয়েন্ট অর্জন করে এখন ১১৮ নম্বরে।

সম্প্রতি প্রকাশিত চলতি বছরের ইন্টিগ্রেটেড ইনডেক্স ফর পোস্টাল ডেভেলপমেন্ট (২ আইপিডি) রিপোর্টে ইউপিইউ সদস্যভুক্ত ১৭০টি দেশে ডাকসেবার এই র‌্যাকিং প্রকাশ করে। সূচকে প্রতিবেশী ভারত ৫৬.১৫ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ৪১ নম্বরে। এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ৬৭, মালয়েশিয়া ৩৬, শ্রীলঙ্কা ৮৬, মিয়ানমার ১১৮ ও নেপাল ১৩৮ নম্বরে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে এবারও র‌্যাংকিংয়ে সেরা অবস্থানটি ধরে রেখেছে সুইজারল্যান্ড।

সুইজারল্যান্ডর পরে সেরা ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, জাপান, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সিঙ্গাপুর। সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মালি। প্রতিবেদনে পাঁচটি দেশের ডাকসেবাকে আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে সিঙ্গাপুর (দশম), পোল্যান্ড (১৩তম), ব্রাজিল (৪৫তম), তিউনিশিয়া (৪৬তম) ও ঘানা (৫৭তম)।

ধারাবাহিক অবনতি: ২ আইপিডি র‌্যাংকিংয়ে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ডাকসেবায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর অবস্থান হচ্ছে যথাক্রমে বাংলাদেশ ৭৮, ৮৪, ১১৭ ও ১২৮; ভারত ১৭, ২৩, ২৬ ও ৪১; মালয়েশিয়া ২৩, ২৫, ৩৩ ও ৩৬; পাকিস্তান ৯৪, ৭৫, ৬৯ ও ৬৭; মিয়ানমার ১২৬, ৯১, ১০০ ও ১১৮; শ্রীলঙ্কা ৮০, ৮৩, ৮৪ ও ৮৬ এবং নেপাল ১০২, ১৩১, ১২৫ ও ১৩৮ নম্বরে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেন, ইউপিইউ কিভাবে, কাদের কোন কোন তথ্যের ভিত্তিতে এ জরিপ করেছে আমাদের জানা নেই। এ ধরনের র‌্যাংকিংয়ের জন্য জরিপের স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে জরিপকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠাবে; যেমনটা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বা আইটিইউ করছে।

তিনি আরও বলেন, আমি তো দেশে পোস্টাল সেবার অবনতি দেখি না, বরং উন্নতি দেখছি। ২০১৭ সালের দিকে ডাকঘরগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। ঘরের চালা নেই, বসার জায়গা নেই—এমন অবস্থা ছিল। এখন সে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। ডাকঘরগুলোকে ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে।’

১৪ অক্টোবার, ২০২০ at ১১:২৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মাক/এমএআর