যশোরের আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

যশোর সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে নামকাওয়াস্তে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রচার হয়ে গেছে কে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর নাম। এমননি পরীক্ষার অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে কে কত মার্ক পেয়েছেন তাও জানানো হয়নি বলে অভিযোগ সবার। নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান প্রিন্সিপাল উজির আলী ও গভর্ণিং বডির সভাপতি এনামুল হক ও সদস্য প্রফেসর লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুড়ছে সবাই। যদিও তাদের দাবি একটি মহল বিষয়টি নিয়ে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

গত ৩ অক্টোবর যশোর মহিলা কলেজে আমদাবাদ ডিগ্রী কলেজের ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আগে থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় ডালিম হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এদিকে নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট ঐ দিনকে দেয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে তালবাহানা করতে থাকে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা। একদিন পর ফলাফল ঘোষণা করা ডালিমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। প্রতিষ্ঠানের গভার্নিং বডির সদস্যদের মধ্যে চাঞ্চল্য শুরু হয়।

এ বিষয়ে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী কাফি খান জানান, আমরা পরীক্ষার আগেই শুনেছিলাম ডালিম হোসেন নিয়োগ পাবেন আর তেমনটি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পরীক্ষায় কে কত পেয়েছে সেটাও জানানো হয়নি তাদেরকে। এমনকি নিয়োগ বোর্ডে প্রকাশ্যে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আর এক পরীক্ষার্থী রিয়াজ মাহমুদ জানান নামকাওয়াস্তে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। তার দাবি তিনি ভালো করেছেন কিন্তু তাকে মুল্যায়ন না করে ডালিম হোসেনকে পাশ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কত মার্ক পেয়ে পাশ করলো তা জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন:
পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ফুলে ভরে গেছে পল্লার ক্ষেত
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
প্রশাসনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে স্কুলের পাশে লাইসেন্স বিহীন স’মিল

তিনি আরো বলেন প্রিন্সিপাল, সভাপতি ও লিয়াকত আলীর ব্যবহারে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া অন্য প্রার্থীরাও বুঝতে পেরেছিলেন যে আগে থেকেই ডালিম হোসেনকে নিয়োগ দেবে বলে তারা ভেবে রেখেছেন। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রনি আহমেদ জানান প্রতিষ্ঠান ল্যাব সহকারী নিয়োগে আর্থিক লেনদেন হয়েছে মোটা অংকের। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিন্তু এখন তা প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। এ বিষয়ে আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল উজির আলী বলেন পরীক্ষা ফেয়ার হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। একটি মহল তাদের মনের মত মানুষকে নিয়োগ দিতে না পেরে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। এ বিষয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন নিয়োগ পরীক্ষায় পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ নেই। মেধা যোগ্যতায় নিয়োগ পেয়েছেন ডালিম।

তিনি আরো বলেন ডালিমকে তিনি আগে কখনোই দেখেননি। এমনকি পরিচয়ও ছিলোনা। যারা অভিযোগ করছেন তারা সুবিধা করতে পারেনি বলে এ ধরনের অপ-প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এবারের মতো ফেয়ার পরীক্ষা আগে কখনো হয়নি। আর কোন বাণিজ্য করা হয়নি। অভিযোগ আসছে যা সব ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এ বিষয়ে প্রভাষক লিয়াকত আলী ও একই সুর দেন।

১৩ অক্টোবার, ২০২০ at ২০:৩৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসকেএম/এমএএস