শিশু অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী। মঙ্গলবার দুপুর তিনি এ রায় দেন। একই সাথে বিচারক মামলার পলাতক এক আসামীর ৫ লক্ষ ও অন্যদের ৩ লক্ষ টাকা করে জড়িমানারও আদেশ দিয়েছেন। আদালতের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি নিহত শিশুর বাবা পরেশ চন্দ্র।
মামলার আসামী ৫ জনের মধ্যে উত্তম কুমার নামের একজন পলাতক থাকলেও বাকি চারজন জয়পুরহাট জেলা কারাগারে আছেন। আদালত সুত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের পরেশ চন্দ্রের আড়াই বছরের শিশুকন্যা আরাধা রাণী বাড়ির পাশে খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয়। পরে শিশুটির বাবা পরেশ চন্দ্র ওই দিনই পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে মামলা করেন।
মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুটিকে ২২ ডিসেম্বর দুপুরে অপহরণের পর মুখ ও হাত স্কচ টেপ দিয়ে বেঁধে আসামী বিরেশ চন্দ্রের বাড়িতে বাক্সবন্দি করে রাখা হয়। পরে সেখানেই শিশুটি মারা গেলে ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে শিশুটির মরদেহ বাড়ির অদুরে একটি পুকুর পাড়ে ঢিলের নীচে চাপা দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক উভয় পক্ষের শুনানী শেষে মঙ্গলবার রায় প্রদান করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন রফিকুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, হেনা কবির, শহিদলু ইসলাম ও আবু কাউছার। অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল উক্ত মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১২ অক্টোবার, ২০২০ at ১৯:৪৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসকেএস/ইইই
