শৈলকুপায় প্রতিপক্ষের হামলায় মখলেচুর রহমান নামে আরো ১ জনের মৃত্যু

ঝিনাইদহের শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নের বৃত্তিপাড়া গ্রামে হামলার শিকার হয়ে মকলেছুর রহমান ওরফে পাইলট (৫০) নামে আরো এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি বৃত্তিপাড়া গ্রামের মৃত আনসার খন্দকারের ছেলে। সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইসার টিপুর কর্মী সমর্থকরা বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের কর্মীদের বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলায় ১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর ও ৭ জন আহত হয়। আহতদের শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত মকলেছুর রহমান ওরফে পাইলটকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন জানায়, প্রতিপক্ষ জুলাফিকার কাইসার টিপুর নেতৃত্বে তার লোকজন গত বৃহস্পতিবার সকালে ব্রক্ষ্মপুর, পুরাতন বাখরবা ও বৃত্তিপাড়া গ্রামে হামলা চালায়। হামলায় প্রতিপক্ষরা তার সমর্থকদের ১৫টি বাড়ি ও দোকান এবং মোটসাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়াও হামলাকারীরা লুটতরাজ চালায়। হামলাকারীরা মহিলাসহ ৭ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে মকলেছুর রহমান ওরফে পাইলটের অবস্থায় আংশকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়।

সোমবার দুপুরে তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন বলে জানা গেছে। মৃত ব্যক্তি বর্তমান চেয়ারম্যান একনিষ্ট কর্মী ছিলেন বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবারের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ৩০ জনকে আসামী করে শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানায়, আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন। লুটপাট ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বৃত্তিপাড়া এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

১২ অক্টোবার, ২০২০ at ১৬:৫৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএস/এমএআর