ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড

দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে। এমন বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ আরও সংশোধনী আনছে সরকার। আইনটি অনুমোদনের জন্য সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হতে পারে।

তবে সংসদ অধিবেশন না থাকায় মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর চলতি সপ্তাহেই এ-সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হবে। যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে অভিহিত হবে।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ সংশোধন আসছে। ৮ নম্বর আইনের ৯(১) উপধারায় যেখানে ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ছিল, সেখানে উপধারা (৪)-এর দফা (ক)-এর ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’র পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড’ শব্দ সংযোজন করা হচ্ছে। ‘দায়ী’ শব্দের পরিবর্তে ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত’ শব্দ সংযুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ৮ নম্বর আইনের ধারা ১৯-এর উপধারা (১) ধারা ১১-এর দফা (গ)-তেও সংশোধন আসছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সোমবার এই খসড়া প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠবে। অপেক্ষা করেন। অনেক কিছু নিয়েই ভাবা হচ্ছে।’ এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ-সংক্রান্ত শাস্তির বিধান সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ড যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি সংশোধনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতি বরাবর বিল আকারে সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি ৯৩(১) অনুচ্ছেদের বলে অধ্যাদেশ জারি করবেন এবং তা আইনে রূপ নেবে। এরপর জাতীয় সংসদ অধিবেশন বসলে প্রথম বৈঠকেই এ অধ্যাদেশকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হবে।

১১ অক্টোবার, ২০২০ at ২৩:২৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সক/এমএআর