তৌহিদ-শুক্কুরের ফিফটিতে শান্ত একাদশের জয়

জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন বোলাররা। দারুণ বোলিংয়ে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে কম রানেই বেঁধে রেখেছিলেন তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধরা। তবে ১৯৭ রানের লক্ষ্যটাও একপর্যায়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশের জন্য। শেষ পর্যন্ত দলকে পথ দেখান তরুণ তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর। এই দুজনের ফিফটিতে চাপ কাটিয়ে জয় তুলে নেয় শান্ত একাদশ।

রবিবার ৪ উইকেটের জয়ে তিন দলের বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে শুভ সূচনা করেছে শান্ত একাদশ। এই ম্যাচ দিয়েই দেশে করোনা বিরতি কাটিয়ে দীর্ঘ ৭ মাস পর মাঠে ফিরল প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর দেড়টায়। টস হেরে ব্যাট করতে নামা মাহমুদউল্লাহ একাদশের ব্যাটিংটা মোটেও ভালো হয়নি। ৪৭.৩ ওভারে ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। জবাবে শান্ত একাদশ ৪১.১ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে।

৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে শান্ত একাদশ একপর্যায়ে অন্ধকারে ডুবতে বসেছিল। সেখান থেকে দলকে পথ দেখান হৃদয় ও শুক্কুর। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের ১০৫ রানেই জয় নিশ্চিত হয় শান্ত একাদশের।

তৌহিদ হৃদয় অবশ্য জয় থেকে খানিক দূরে থাকতে আউট হন। আমিনুল বিপ্লবের শিকার হওয়ার আগে ৬৭ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি। শুক্কুর অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। ৭৮ বলে ৬ চারে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। নাঈম হাসান ৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

এ ছাড়া দুই ওপেনার সাইফ হাসান ১৭ ও সৌম্য সরকার ২১ রান করেন। অধিনায়ক শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মুশফিকুর রহিম ১ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ৪ রান করেন।

মাহমুদউল্লাহ একাদশের পক্ষে ইবাদত হোসেন সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, রাকিবুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

এর আগে মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন অধিনায়ক নিজে । তার ৮২ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কা। চারে খেলতে নামা ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৪০ রান। এ ছাড়া আর কেউই ৩০ রানও পেরোতে পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে।

অন্যদের মধ্যে লিটন দাস ১১, নাঈম শেখ ৯, মুমিনুল হক ০, নুরুল হাসান সোহান ১৪, আমিরুল ইসলাম বিপ্লব ৬, আবু হায়দার রনি অপরাজিত ১৪, রাকিবুল হাসান ১৫ ও রুবেল হোসেন ১ রান করেন।

নাজমুল একাদশের পক্ষে তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। নাঈম হাসান ও সৌম্য সরকার পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

ম্যাচসেরা হয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। মঙ্গলবার তামিম ইকবাল একাদশের মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

১১ অক্টোবার, ২০২০ at ২২:৪১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেরু/এমএআর