৫ বছরের শিশুকে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষন্ড বাবা

আল-আমিন নামে ৫ বছরের এক শিশুকে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষন্ড বাবা। শিশু ছেলেটি এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানন্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বাকুড়া গ্রামে। শিশু আল-আমিনের পিতার নাম দাউদ সরদার।

শিশু আল-আমিনের নানী সাকিরন নেছা জানান, তিনি অত্যন্ত অভাবী মানুষ। যে কারণে দাউদ সরদারের বাড়িতে কাজ করতেন। কাজ করার সুবাদে তার কিশোরী কন্যার যাওয়া-আসা ছিল দাউদ সরদারের বাড়িতে। এ সুযোগে দাউদ সরদার তার কিশোরী কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে করে ঐ মেয়ে গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সাকিরন নেছা বাদি হয়ে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্রুনালে মামলা দায়ের করেন। যার নং-২২৩১৭, তাং- ২০/১০/২০১৫। বর্তমানে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্রুনাল-২ তে বিচারাধীন আছে। ঐ সময় সাকিরন নেছা গর্ভের বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করলে আদালত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠায় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভের সন্তান দাউদ সরদারের বলে প্রমাণ হয়। তখন আদালত তাকে আটকের নির্দেশ দিলে তিনি ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হয়। বিয়ের শর্তে আদালত তাকে আটক করেনি। আদালতের নির্দেশে বিয়ে করলেও ঐ বাচ্চা ও স্ত্রীকে স্বীকৃতি দেয়নি দাউদ সরদার। ফলে ঐ মেয়ে বাপের বাড়িতে বসবাস করতে থাকে।

সাকিরন নেছা আরো জানান, দাউদ সরদারের বয়স ৬৫ বছর। ছেলে-মেয়েরা অনেক বড়, উচ্চ শিক্ষিত ও বিভিন্ন জায়গায় চাকুরী করেন। ৫ বছরের ছোট বাচ্চা যখন তাকে আব্বা-আব্বা করে ডাকেন, তখন তাদের সম্মানে বাঁধে। যে কারণে এই বাচ্চাটাকে তারা মেরে ফেলতে চেয়েছে। তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বুধবার রাত ১ টার দিকে শিশু আল-আমিনের শরীরে আগুন দেয় দাউদ সরদার ও তার পরিবারের লোকজন। এ সময় আল-আমিনের চিৎকারে সবাই চলে আসে এবং বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে। পরে তার নানী সকিরন নেছা যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে বাচ্ছাটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ফলে তাকে ঢাকায় স্থানন্তর করা হচ্ছে বলে সাকিরন নেছা জানিয়েছেন।

০৮ অক্টোবার, ২০২০ at ১৭:৫৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআরএইচ/এমএএস