ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিড়ম্বনা এবং গণমাধ্যমে খবরের গল্প

কিছু্দিন আগেও এক সঙ্গে একটি টাস (অ্যান্ড্রয়েড) এবং আরেকটি টিপাটিপির (বাটন) মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন অনেকে। এই দুটোর সম্পর্ক ছোট ভাই বড় ভাইয়ের মতো বলা যায়। ইদানীং অনেকে আবার দুটোই টাস মোবাইল ব্যবহার করেন। দামের দিক থেকে হেরফের হলেও সম্পর্কের বেলায় এই দুটোকে জমজ ভাইও বলা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে একজনের দুটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকাটা স্বাভাবিক হিসাবেই ধরে নেয়া যায়। কিন্তু এর সাথে ট্যাব, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ মিলে একইজন যদি ৫-৬টি অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে সেটা একেবারেই অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার মনে হয়। এ ছাড়া একই ডিভাইসে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলার অপশন তো রয়েছেই। আর সেই একজনেরই হরেক নামে খোলা আ্যাকাউন্টগুলো থেকে যদি কাউকে বারবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় তাহলে প্রচুর বিড়ম্বনা দেখা দেয়। বিড়ম্বনা দেখা দেয়, অনুমতি ছাড়া ট্যাগের বহরে যুক্ত করে দেয়ায় এবং মেসেঞ্জারে যত্রতত্র কল দেয়ার বেলাতেও। এ গুলোতে অনেকেই বিরক্তিবোধ করেন।

অনেকের কাছে ফেসবুক আইডি হিসাবে পরিচিত এসব অ্যাকাউন্ট খুলতে তো পয়সা লাগছে না, ঠিক আছে আপনি যতো খুশি ততোই খোলেন কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু তা নিজের, পরিবারের ও খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখলে ভালো হয়। একজনের এতগুলো অ্যাকাউন্টের কী দরকার। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে হয়তো দরকারও আছে। যাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় এই মাধ্যম হয়ে উঠেছে সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম মাধ্যম। এর বাইরে দুয়েকজন ভদ্রলোককেউ বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেখে গেছে।

সীমাহীন মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে একেকটা আইডিতে একেকজনের সাথে কথিত বন্ধুত্বের অথবা অন্য কোনো সম্পর্ক তৈরি করে ঠগবাজি করা, আর কিছুদিন সেই সম্পর্ককে ভোগবস্তুতে পরিণত করা, অতঃপর কাম সারা হলে ধোঁকাবাজির সম্পর্ক ভেঙে চুরমার করে, ডিগবাজি মেরে আবার নতুন কারো সাথে সেই একই অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া- মানসিক বিকারগ্রস্তদের একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সাধারণত এমনটাই হয়ে থাকে বোধ হয়। কিন্তু এই বহুমুখী ‘ফেসবুক প্রতিভার’ মাধ্যমে ভাউতাবাজি করে অন্যকে ঠকানোর পরিণতি নিশ্চয় শুভকর, সুখকর হয় না।

কোনো একটা ইস্যু সামনে আসলেই আমাদের গণমাধ্যম তা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে। যথারীতি শোরগোল পড়ে যায়। সেই খবরের বাজার গরম করে তোলা হয়। মার্কেটিংয়ের জন্য ইনিয়ে বিনিয়ে খবর তৈরি করে অনেকে। নতুন করে বড় কোনো ইস্যু সামনে না আসা পর্যন্ত সেই খবরের ঢেউ বইতেই থাকে। এখন চলছে ধর্ষণের খবরের ভরা মৌসুম। সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ছাত্রলীগ কর্মীদের গণধর্ষণের পৈশাচিক ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। বর্বরতম এ ঘটনায় সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। যথারীতি প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে ফেসবুকেও। তুমুল প্রতিবাদের মুখে পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর থেকেই ধর্ষণ নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা চলছে। সুতরাং রীতি অনুযায়ী গণমাধ্যমেও ধর্ষণ কেন্দ্রীক খবরকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।

কিন্তু গণমাধ্যমে হঠাৎ ইস্যুর মাতামাতিতে অপরাপর পেছনের ঘটনা অনেকটাই আড়ালে পড়ে যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, কোথাও কোথাও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেও ধর্ষণের নোংরা নাটক সাজানো হয়, বেছে নেয়া হয় এই ‘ধর্ষণ অস্ত্র’কে। যদিও সরাসরি ধর্ষণ বলা হলে ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত মেলে না, তাই ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ হিসাবে থানায় অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া প্রেম জিনিসটা বহু মানুষের কাছে শারীরিক মেলামেশার যেন বৈধ প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশ আগে থেকেই। ছেলে-মেয়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা মানেই দেহভোগের মোক্ষম সুযোগ তৈরি হওয়া। এ ক্ষেত্রে মেয়েরা প্রতারিত হলে প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে অবস্থান, অনশন করেন। তাতেও কোনো কাজ না হলে কথিত প্রেমিকের নামে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অনেকে আবার পারিবারিক, সামাজিক কারণে নীরবেই তা মেনে নিতে বাধ্য হন। কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেন। তবে এসব ঘটনার শিকার কিংবা ভুক্তভোগী নারীরা এর দায় পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে পারেন না, একটু হলেও তাদের দায় থেকে যায়। তা হলো, সঙ্গী নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়। নিজেদের সরলতার দায়। উল্টো দিকে ‘লোভ’ সংবরণ করতে না পারার দায়ও থাকে।

ভার্চুয়ালে প্রেমিকের চাকচিক্যময়তায় সহজেই মুগ্ধ হয়ে যাওয়া, চারিত্রিক বিষয়টাকে খুব একটা আমলে না নিয়ে ‘নিরাপদ ভবিষ্যতের’ কথা বিবেচনা করে কথিত প্রেমিকের অর্থ বিত্তের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া, অতিলোভের বশবর্তী হয়ে নিজের সবকিছু উজাড় করে দেয়া- ইত্যাদি ঘটনার পর যখন তথাকথিত ভালোবাসার মানুষ প্রতারণা করে, এড়িয়ে যায়। তখন সব কূল হারিয়ে সেই সব মেয়েরা প্রতারক প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। এসব ঘটনায় থানায় ‘ধর্ষণ অথবা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়। আর এসব মামলার সূত্র ধরেও গণমাধ্যমে ধর্ষণের খবর তৈরি হয়।

মফস্বলের অপেশাদার গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা ভালো কাভারেজ পেতে কিংবা অন্য কোনো কারণে রঙচঙ মাখিয়ে খবরকে আরো আকর্ষণীয় করেন। সেসব খবরে চাহিদার জোয়ারে যখন ভাটা পড়ে, মানুষ আর গ্রহণ করে না, তখন আর সেগুলোকে খুব একটা আমলে নেয় না গণমাধ্যম। সেগুলোকে খবর বলে সেইভাবে গণ্য করা হয় না। তার মানে এই নয় যে, প্রকৃত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে না, বা ঘটছে না। এটা কিন্তু বলার সুযোগ নাই মোটেও। বরং দেশের কোথাও না কোথাও অহরহই ঘটছে ধর্ষণের ঘটনা। তবে ঘটনা যা ঘটে তার চেয়ে সুযোগ মতো একটু বেশিই রটে। সুযোগ বলতে, গণমাধ্যমগুলোর ভেতরে পাল্লাপাল্লি আর ক্ষেত্র বিশেষে খবর নিয়ে মাতামাতি। এই লেখার সুযোগে ঘটে যাওয়া সব ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

রোববারের (৪ অক্টোবর) মানবজমিনের শেষ পৃষ্ঠায় প্রধান খবর ছিল গত কয়েক বছরের ধর্ষণের পরিসংখ্যান নিয়ে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘সাড়ে ৪ বছরে ৪৫০০ ধর্ষণ’। সেই হিসাবে বছরে গড়ে ১ হাজার করে ধর্ষণ হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এ গুলো সবই কী জোরপূর্বক ধর্ষণ। নাকি সেই প্রেমিক-প্রেমিকার সহমতের ধর্ষণও রয়েছে। যেহেতু ধর্ষণের প্রকার ভেদ অাছে। বলা দরকার, শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোনো কারণে দ্বিমত বা অসম্মতি থাকার পরেও যদি স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামী মিলনে লিপ্ত হন সেটাও ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে। এমন অনিচ্ছার ঘটনায় স্ত্রী চাইলে স্বামীর নামে ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিতে পারেন। সে যাই হোক প্রতারণামূলক সম্পর্ক তৈরি করে ধর্ষণ এমনকি গণধর্ষণের ক্ষেত্র তৈরি করায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেরও একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নাই।

বহুদিন আগেকার একটা কথা হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল। তখন ফেসবুক তো দূরের কথা এখনকার মতো আধুনিক মোবাইল ফোনও ছিল না। দুই হাজার সালের আগের কথা বলছি। তখন নিজ এলাকা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ওসি ছিলেন সিএ হালিম। তিনি বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। সে সময় এখানে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে প্রচুর গরু আসতো। দামও ছিল অনেক কম। সীমান্তে গরু আমদানির জন্য কাস্টমস করিডোর ছিল। এখন সেটার কার্যক্রম নাই। ওই সময় একদিন ওসি হালিম ভাইয়ের অফিসে বসে ধর্ষণের বিষয়ে কথা হচ্ছিল। ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে কেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওসি হালিম ভাই সম্ভবত মজা করেই জবাব দিয়েছিলেন, ‘এই এলাকার মানুষ প্রচুর গরুর মাংস খায়। গরুর মাংস খেলে শরীর গরম হয়, এ কারণেই হয়তো মানুষ ধর্ষণে জড়িয়ে পড়ছে।’

কিন্তু এখন তো গরুর মাংস সহজলভ্য নয়। তাহলে এখন কেন ধর্ষণ এত বাড়ছে। এখনকার ছেলেপেলে হাতের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফেসবুকে যত্রতত্র বিচরণ করছে, অনৈতিক সম্পর্ক গড়ছে, ইন্টারনেটে অবাধে পর্নো সাইটে ঢুকছে, যৌনতায় আকৃষ্ট হয়ে নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে ফেলছে। ফলাফল হিসাবে দাঁড়াচ্ছে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রবণতা। এ ছাড়া অপরাপর কারণেও বিকৃত মানসিকতার লোকজন ধর্ষণে জড়িয়ে পড়ছে। তারা এতটাই মানসিক বিকারগ্রস্ত যে, তাদের কবল থেকে শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। অনেককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটছে। আবারো ধিক্কার জানাই মানুষরূপী এসব পশুদের।

তবে ফেসবুক কেন্দ্রীক কিছু সম্পর্কের ক্ষেত্রে আবার ব্যতিক্রম ঘটনাও দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া নামে পরিচিত গ্লোবাল এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনেকের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্কও যে তৈরি হচ্ছে না তা কিন্তু নয়। নিশ্চয় ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠছে। খুব সহজেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে। আবার এখান থেকে পরিচয়ে প্রেম ভালোবাসার মাধ্যমে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন যাপন করছেন, দুয়েকটি এমন নজিরও জানার আয়ত্বে রয়েছে। এ ছাড়া ফেসবুকে প্রাথমিক পরিচয়পাট্টার পরে পারিবারিকভাবেও কারো কারো শুভ পরিণয় ঘটছে। যদিও তা সামগ্রিকভাবে গুণতিতে পড়ে না বললেই চলে। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত হওয়া কতো জোড়া নারী-পুরুষ যে শুভ পরিণতির জন্য পাইপলাইনে আছেন তার নির্দিষ্টি কোনো হিসাব নাই কারো কাছেই। অন্যদিকে প্রেমজ সম্পর্কের টানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকেও মাঝে মাঝে অনেকের ছুটে আসার খবর পাওয়া যায় গণমাধ্যমে।

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সস্পর্কিত বিষয়ে মূলত যেটা বলতে চাচ্ছিলাম তা প্রথমেই খানিকটা ইঙ্গিত করেছি। এর মাঝখানে সময়ের আলোচিত ধর্ষণকে কেন্দ্র করে চলে আসলো অন্য প্রসঙ্গও। এখন সেই বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করে বলি, ধরেন আপনি আপনার দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালেন সেটা যদিও অনেকে অপছন্দ করে থাকেন তবুও তা স্বাভাবিক বা সহনীয় পর্যায়েই পড়ে। কিন্তু কিছুটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আপনার নামে বিনা পয়সার যতোগুলো অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তার সবগুলো থেকেই আপনি যদি কাউকে বারবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান তাহলে সেই মানুষটা নিশ্চিতভাবে আপনার প্রতি প্রচণ্ড বিরক্ত হবে সন্দেহ নাই। হয়তো ভালো সম্পর্কের খাতিরে কিংবা আপনার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অ্যাকসেপ্ট করে নেবে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ হবে। বিশ্বাস করেন এটাই বাস্তব সত্যি। বিশ্বাস না হলে আপনি নিজেই ব্যাপারটাকে মিলিয়ে নিতে পারেন।

‘যতো অ্যাকাউন্ট ততো পুরস্কার’ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এমন তো কোনো অফার চালু রাখেনি। তাহলে কী দরকার শুধু শুধু মানুষের কাছে বিরক্তির কারণ হবার, মানুষকে ধোঁকা দিয়ে পাপ কুড়াবার, অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে অন্ধাকার জীবন যাপন করবার। সুতরাং ভার্চুয়াল জগতের অন্যতম অনুষঙ্গ এই ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট খোলার বেলায় ‘দুটির বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়’ এ রকমের নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি অবলম্বন করে তার সদ্ব্যবহার করাই আপনার আমার সবার জন্যই অপেক্ষাকৃত উত্তম। এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো অ্যাকাউন্টের গর্বিত মালিক হবার দরকার নাই। অ্যাকাউন্টবাজ, মতলববাজ ফেসবুকারদের মাঝে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, তাদের কবল থেকে মুক্ত হোক ভুক্তভোগী সবাই। গড়ে উঠুক নিরাপদ বাংলাদেশ এই আমাদের প্রত্যাশা।

❑ লেখক : এস আর সেলিম, সংবাদকর্মী।