কেশবপুরে ডিভোর্সী স্ত্রীর বিরুদ্ধে দোকান লুটপাটের অভিযোগ

তালাক দেয়া স্ত্রীর নেতৃৃত্বে কেশবপুর শহরের একটি গার্মেন্টস দোকানের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ এনে রোববার সকালে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আকতারুজ্জামান কাবুল।

লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ছবেদ আলী মোড়ল এর ছেলে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি উল্লেখ করেন যে, গত ১৯৯০ সালে মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় খালিশপুর হাউজিং বাজার বাসা নং: ডব্লিউ/৭১, খুলনা মৃত শেখ মোর্শারাফ হোসেনের মেয়ে মোছা: নাদিরা আখতারের সাথে।

বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমানিল্যের কারণে ঠিকমত বনিবনা হয়না। এর পরও আমার ঔরষে স্ত্রীর গর্ভে ২টি কন্যা সন্তান হয়। তাদেরকে আমি সাধ্যমত ভালো যায়গায় ও উপযুক্ত পাত্রের সঙ্গে বিবাহ দিয়েছি। এরপরও আমার স্ত্রী ঠিকমত ঘর সংসার করেনা।

মনিরামপুর উপজেলার রতনদিয়া গ্রামের মৃত হারকুছ মাওলানার ছেলে শরিফুল ইসলাম যার হাল সাং বালিয়াডাঙ্গা, উপজেলা: কেশবপুর, জেলা: যশোর। সে সম্পর্কে আমার বোনের জামাই। সে সুবাদে আমার বাবা বেঁচে থাকতেই আমাদের বসত ভিটার এক পাশে ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছে।

আমি দোকানের কাজে ব্যস্তথাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আত্মীয়তার সুবাদে ভগ্নিপতি শরিফুল ইসলাম আমার বাড়িতে অবাধ যাতায়াতের ফলে আমার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক গোড়ে তোলে। তার কু-পরামর্শে আমার স্ত্রী আমার নিকট তালাক চায়। মেয়ে-জামায় ও সংসারের শান্তির কথা ভেবে আমি তালাক দিতে সম্মতি প্রকাশ করিলে স্ত্রী নাদিরা তালাকের নিয়ম অনুযায়ী কাবিন বাবদ ২০ হাজার এবং খোরপোষ বাবদ ১২ হাজার টাকার দাবিদার।

সেখানে সে নিয়ম ভঙ্গ করে আমার পৈত্রিক ভিটার বাড়িসহ .৫ (পাঁচ) শতক জমি দাবি করে। তখন সে অঙ্গীকার করে যে আমি উক্ত জমি পাইলে অদুর ভবিষ্যতে স্বামী আকতারুজ্জামান কাবুলের বিরুদ্ধে দেন মোহর ও খোর পোষের মোকদ্দমা করিবো না এবং নারী নির্যাতন, যৌতুকের মামলাও করিব না। এমনকি থানা পুলিশ দিয়ে কোন হয়রাণী করবে না।

মেয়ে-জামায়সহ আমার সম্মানের কথা ভেবে আমি লোক লজ্জার ভয়ে গত ২৭/১২/২০১৮ তারিখ মাগুরাডাঙ্গা মৌজার ৮০ নং জে.এল, ২৩৫ নং খতিয়ানের ৬৮৮ নং দাগের .৮০ শতকের মধ্যে আমার পৈত্রিক ভিটার বাড়িসহ .৫ (পাঁচ) শতক জমি রেজিষ্ট্রি করিয়া দিই। যার দলিল নং: ৬৩৭০। এরপর থেকে স্ত্রী নাদিরা ও ভগ্নিপতি শরিফুল ইসলাম আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন সময় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

বর্তমানে জীবন ভয়ে আমি আমার পৈত্রিক ভিটা ছেড়ে শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করিতেছি। এরই মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আখতার গার্মেন্টর্সের তালা ভেঙ্গে তাদের তালা লাগিয়ে দেয় এবং ওই রাতেই তালা খুলে দোকান থেকে প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটকরে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি কেশবপুর থানাকে অবহিত করি। আমি সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।