মোবাইল ফোন ‘চুরির অপবাদ’ দিয়ে নির্যাতনের পর চিকিৎসার জন্য খরচ দিয়েছেন এক স্কুলশিক্ষকসহ কয়েকজন

জেলার রাণীনগর উপজেলার মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের ১৬ বছরের এক কিশোরের বাবা। এই বাবার অভিযোগ, তাদের গ্রামে গত ২১ সেপ্টেম্বর একটি মোবাইল ফোন চুরির দায় চাপানো হয় তার ছেলেও ওপর। বুধবার বিকেলে তার ছেলেকে ডেকে গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন বাবুলের বাড়িতে নিয়ে যান শিক্ষক লুৎফর রহমানসহ কয়েকজন।

“তারা তাকে লাঠি ও পাইপ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে গ্রামের লোকজন শালিস-বৈঠক করে ছেলের চিকিৎসার জন্য আট হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসা করেছে।” তিনি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেননি বলে জানান। শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, “মোবাইল ফোন চুরি করেছে এমন সন্দেহে চর-থাপড় দিয়েছি। তবে চিকিৎসা বাবদ কিছু খরচ দিয়ে শুক্রবার সমাধান করা হয়েছে।”

সাখাওয়াত হোসেন বাবুলও ‘চিকিৎসা বাবদ কিছু খরচ’ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমার বাড়িতেই বসা হয়। পরে চিকিৎসা বাবদ কিছু খরচ দিয়ে বিবাদ সমাধান করা হয়েছে।” এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাণীনগর থানার ওসি মো. জহুরুল হক।

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১১:৩৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএস/এমএএস