নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীতে স্ত্রীর মামলায় স্বামী কারাগারে

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাইশারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড উত্তর করলিয়া মুরা গ্রামের আজগর আলীর কন্যা খুরশিদা বেগম (২০) বাদী হয়ে স্বামী হামিদুল হক (৩১) হসমতুল্লাহ (৩৪) এনামতুল্লাহ (৪০) একই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড লম্বাবিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত নুরুল হক প্রকাশ লোলা মিয়ার পুত্রের বিরুদ্বে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী খুরশিদা বেগম।

মামলায় স্বামী হামিদুল্লাহর দুই বড় ভাইকে ও আসামি করা হয়েছে। উক্ত মামলায় গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকালে স্বামী হামিদুল্লাহকে বাইশারী বাজার থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে বান্দরবান আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত জামিন নামন্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

বাদীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাদী খুরশিদা বেগম বাইশারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বিগত ৫/৬ বছর পুর্বে বিবাদীগন বাদীর বাড়ির পাশে মুরগির খামার পরিচালনা করে আসছিল। ১নং বিবাদী হামিদুল্লাহ বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া আসার সময় বাদীকে প্রেম নিবেদন করতেন প্রায় সময়।

এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্রধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাদী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি পিতা মাতার নজরে আাসায় তার বড় ভাইকে জানায়। কিন্ত বিবাদীর বড় ভাইগন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

পরে বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ও জনপ্রতিনিধিদের অবগত করা হলে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে উভয়ের মাঝে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। কিন্ত স্বামীর বড় ভাইগন ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে স্বামীর পিত্রালয়ে নিতে নিষেধ করে দেয়।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় স্বামীর বড় ভাইদের প্ররোচনায় গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য স্ত্রীকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার ও তরল দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ পান করিয়ে স্বামী পালিয়ে যেতে পরামর্শ দেয়। এদিকে বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ সেবনের ফলে অধিক রক্ত ক্ষরনে তিন মাসের বাচ্চাও পড়ে যায়। পিতা আজগর আলী মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে কোন রকম সুস্থ করলেও স্বামী দীর্ঘদিন স্ত্রীর খোঁজ খবর না নেওয়ায় অবশেষে নিরুপায় হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।

খুরশিদার পিতা আজগর আলী জানান, মামলার পর থেকে আসামী পক্ষের লোকজন বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছে। পুরো পরিবার এখনও আতংকে রয়েছ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন বাকীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।