কৃষকদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে দারুণ সমালোচনায় পড়েছেন কঙ্গনা রনৌত। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বিভিন্ন স্তরের মানুষ। যার জের ধরে শনিবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের হয় কর্ণাটকের টুমকুরের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।

অপরাধ আইনের ৪৪ মর্যাদাহানি, ১০৮ অপরাধমূলক কাজে মদদ দেওয়া, ১৫৩ দাঙ্গায় উসকানি, ১৫৩এ ভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতায় ইন্ধন জোগানো এবং ৫০৪ সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন অবমাননাকর মন্তব্য করা ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে।

কৃষি বিলের প্রতিবাদে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের তুলনা করেন কঙ্গনা। সেই সূত্রেই পাঞ্জাবের অমৃতসরে অনেক কৃষক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার ও অভিনেত্রী কঙ্গনার বিরুদ্ধে পথে নামেন। তিনজনের ছবি লাগানো কুশপুত্তলিকা নিয়ে মিছিল করেন।

গত সপ্তাহে সংসদে বিতর্কিত কৃষি বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘিরে ধোঁয়াশা থাকায় বিলটির বিরুদ্ধে পথে নামেন কৃষকেরা। তাদের আশ্বস্ত করে টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, নয়া বিল আইনে পরিণত হলেও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তাকে রিটুইট করে ২০ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করে বসেন কঙ্গনা। লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীজি, কেউ ঘুমালে তাকে জাগানো যায়। কেউ না বুঝলে তাকে বোঝানো যায়। কিন্তু যিনি ঘুমানোর অভিনয় করেন, বুঝেও না বোঝার ভান করেন, আপনার বোঝানোয় তার কী যায় আসে? এরা সেই সন্ত্রাসবাদী, সিএএ-র আওতায় কারো নাগরিকত্ব না গেলেও এরা রক্তবন্যা বইয়ে দিয়েছিল।”

কঙ্গনার এই টুইট ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেরই মতে, নায়িকা দরিদ্র কৃষকদের চরম অপমান করেছেন। পরে কঙ্গনা দাবি করেন, কখনো কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলেননি। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে টুইটার ছেড়ে দেবেন বলেও ঘোষণা দেন।

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১৩:১৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেরু/এমএআর