যশোরে সেপ্টেম্বরে করোনা সংক্রমণের হার ১৮ শতাংশ

যশোরে সেপ্টেম্বরে নমুনা পরীক্ষা তুলনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৮দশমিক ১৯ শতাংশ। অপরদিকে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়েছে ১৪৯ দশমিক ১৪শতাংশ। সেপ্টেম্বরের ২৬ দিনে ৫৮৬জন করোনায় আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়েছে ৮৭৪জন। এই কয়দিনে তিন হাজার ১৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

আগস্টের একই সময়ে আক্রান্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সুস্থতার হার ছিল ৬৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। আগস্টে তিন হাজার ৫৮২টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২১৭জন ভাইরাসটি দ্বারা সংক্রমিত হন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৮৪২ জন।

জুলাই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১দশমিক ৫২ শতাংশ। জুলাইতে নমুনা পরীক্ষা করা হয় তিন হাজার ৭৬২টি। এই মাসে নতুন করে সংক্রমিত হয় এক হাজার ১৮৬জন। সুস্থ হয় ৮৬৩জন। তবে জেলায় গড় আক্রান্তের সংখ্যা এখনো ২৪ দশমিক ৫৭শতাংশ। এছাড়া আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হওয়ার হার ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

অপরদিকে শনিবার জেলায় ৭৫জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৫জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ১৫জনের মধ্যে সদর উপজেলাতেই ১২জন। এছাড়া অভয়নগর, মনিরামপুর ও শার্শা উপজেলা একজন করে আক্রান্ত হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা রেহেনেওয়াজ বলেন, শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১৬হাজার ১৭১টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৫হাজার ৬৮০টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এখনো ৪৯১টি নমুনা পরীক্ষার ফল অপেক্ষাধীন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রতিবেদনে ৩হাজার ৮৫৩জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে দুই হাজার ৮৩৬জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১জন ও বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯৪৮জন। এছাড়া ৪৫জন মারা গেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১২ এপ্রিল যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার একজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের মধ্য দিয়ে এ জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৫৫ জন। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০৪জন। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত জেলায় এক হাজার ৬৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০৬ জনে। এই মাসে দুই হাজার ৪৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুলাই থেকে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। জুলাই মাস শেষে আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ৭৮৫জনে। আগস্টে এক হাজার ৪৮২জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই মাসে নমুনা পরীক্ষা হয় চার হাজার ৫৩৮টি।

এর আগে ২৭ জুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। ১৩ জুলাই ৯২তম দিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ও ৬আগস্ট দুই হাজার, ২৬আগস্ট তিন হাজার ও ৭সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়ায়।

যশোর সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে জেলা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ ভাগ এর কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে। এই হিসাবে বলা যায় জেলায় করোনা সংক্রমণ নিম্নগামী। তবে তা এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। সংক্রমন যদি ৫% এর নিচে আসে তখন বলা যাবে ভাইরাসটি সংক্রমণের গতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রের মধ্যে। তবে করোনা সংক্রমণ নিম্নগামী এই ধারা ধরে রাখতে সবাইকে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে।

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ২৩:২৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএআর/এমএআর