করোনার সেকেন্ড ওয়েভ রহস্যঘেরা, কোথাও যেন কিছু ঘটছে: রিজভী

কোথাও যেন কিছু ঘটছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রীদের হঠাৎ করে দেওয়া বক্তব্য রহস্যঘেরা।

তিনি বলেন, ‘সরকারি তথ্যমতেও তো আমরা দেখছি প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। করোনা টেস্ট অর্ধেকে নামিয়ে দিয়েছে সরকার। অফিস-আদালতসহ সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় সরকারের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে কোথাও কিছু ঘটছে।’ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে রিজভী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে ফেরাতে চায়। দেশজুড়ে বড় কিছু ঘটনা আড়াল করতেই করোনা ধেয়ে আসার জিগির তোলা হচ্ছে।’ এ সময় বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘মিথ্যা, অসত্য, অবৈধ সত্তার পতন অবশ্যম্ভাবী।’

তিনি বলেন, ‘গত দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে, প্রস্তুতি নিন। এর পরদিন তথ্যমন্ত্রী একই কথা বলেছেন। গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ চলছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন।’

‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য থেকে ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ এখনো শুরু হয়নি। আবার তারা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ যে আসবেই, ধরাবাঁধা এমন কোনো কিছু নেই। মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর নির্ভর করবে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ বা সেকেন্ড ওয়েভ আসবে কিনা’ যোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, এপিডেমিওলজিস্ট অথবা ভাইরোলজিস্টরা হিসাব মেলাতে পারছেন না যে, বাংলাদেশে গত ১ থেকে ২ সপ্তাহ করোনা সংক্রমণের হার কম-বেশি ১২ শতাংশের মতো। সেখানে মন্ত্রী কিসের ভিত্তিতে বলছেন যে, করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ চলছে?’

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কড়া সমালোচনা করে বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘গতকাল সিইসি বলেছেন- দেশে কখনো রাতের বেলা কোনো ভোট হয়নি। পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে, রাতে ভোট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবার বলেছেন উপ-নির্বাচনে রাতে ভোট হওয়ার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্বীকার করে নিলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতের ভোটের কথা। তার নেতৃত্বেই জাতির চরম সর্বনাশ করা হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে; গণতন্ত্রের সমাধি হয়েছে।’

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১৩:৫৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেরু/এমএআর