পেঁয়াজ আমদানিতে ভর্তুকি চান ব্যবসায়ীরা

পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ ভর্তুকি চান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এ সুবিধা দেওয়া হলে আমদানি বাড়বেন তারা। পাশাপাশি বাজার স্বাভাবিক রাখতে মনিটরিং সেল গঠন করবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি।

শুক্রবার কাওরান বাজারে একটি হোটেলে এক মতনিময় সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি তৌফিক এহসান। তিনি জানান, তারা সারাদেশে মনিটরিং সেল গঠন করতে যাচ্ছেন। অসাধু বিক্রেতাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। তিনি আরও বলেন, এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ায় কোনো ঘাটতি হবে না। হঠাৎ করে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তাই চিন, মায়ানমার, নেদারল্যাল্ড, নিউজিল্যান্ড, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বহু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। পেঁয়াজের ঘাটতি হতে দেবেন না তারা।

পেঁয়াজ আমদানিকারক ওমর ফারুক বলেন, গত বছর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর সরকার ৮টি বড় বড় কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিল পেঁয়াজ আমদানির। ফলে আমরা ক্ষুদ্র আমদানিকারকরা ভয়ভীতিতে ছিলাম। পেয়াজের কেজি তখন ৩০০ টাকা হয়। তিনি বলেন, বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমদানি বাড়াতে হবে। এ জন্য আমদানিতে ১০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া প্রয়োজন। এই ভর্তুকি দেওয়া হলে আমদানি বাড়াবেন ব্যবসায়ীরা। তখন বাজারে দাম ৫০ টাকার মধ্যে চলে আসবে। এক প্রশ্নের জবাবে ওমর ফারুক বলেন, ক্রেতাদের জন্যই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কথা শুনেই মানুষ হুমড়ি খেয়ে চাহিদার অতিরিক্ত পেয়াজ কিনতে থাকে। তখন দোকানে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়।

এ সময় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ঝন্টু, এম এ ইসলাম, ইসহাক ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান টিপুসহ কারওয়ান বাজারের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ০১:০২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সক/এমএআর