কুয়েতে পাপুলের বিচার শুরু

অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির অপরাধ আদালতের কাউন্সেলর আব্দুল্লাহ আল-ওসমানের আদালতে তার বিচার শুরু হয়। ১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

কুয়েতের আরবি ভাষার দৈনিক আল-কাবাসের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়। খবরে আরও বলা হয়, পাপুলের পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ পাপুলকে গত জুনে কুয়েতের রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে। রয়েছে নানা ব্যবসা।

পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানব পাচার, অর্থ পাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। গ্রেপ্তারের পর ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় পাপুলকে।

কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনের তদন্তে পাপুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, মানব পাচার, ঘুষ বিনিময় ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাপুলের সঙ্গে অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন কুয়েতের দু’জন সংসদ সদস্য সাদুন হাম্মাদ আল-ওতাইবি ও সালাহ আবদুলরেদা খুরশিদ। পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি বরখাস্ত মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহও রয়েছেন অভিযুক্তদের মধ্যে। জামিনে থাকা দুই কুয়েতি সাংসদ বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হননি বলে জানায় আল-কাবাস পত্রিকা।

কুয়েতি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অভিযুক্তদের মধ্যে আরও তিন বাংলাদেশি নাগরিকের জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আল-কাবাসের খবরে বলা হয়, মামলার তদন্তের সময় অভিযুক্ত হিসেবে ১৩ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্য থেকে চারজনকে তদন্তকালে বাদ দেওয়া হয়। সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নিজের স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করে আনেন তিনি।

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ০১:৫০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সক/এমএআর