দুমকিতে অর্ধশতাধিক আয়রণ ব্রিজের বেহাল দশা

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক এলজিইডির আয়রণ ব্রিজের বেহাল দশায় দুর্ভোগে পরেছেন প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। গ্রামীণ কাঁচারাস্তা ও ইউনিয়ন কানেক্টিং সড়কের খাল ও নালার ওপর নির্মিত আয়রণ ব্রিজগুলো সংস্কারাভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

এসব আয়রণ ব্রিজের অধিকাংশই বিভিন্ন স্থানের স্লীপার ভেঙ্গে পারাপারের অযোগ্য হয়ে আছে। কয়েকটি ব্রিজের আংশিক ও সম্পূর্ণ স্লীপার ভেঙ্গে পড়ায় শুধুমাত্র ব্রিজের আয়রণ কাঠামো দাড়িয়ে রয়েছে। এলাকাবাসীদের চলাচলের জন্য বিকল্প পথে বাঁধ দিয়ে ঐসব পথে যাতায়ত করতে হচ্ছে।

সরেজমিন পরিদর্শণে দেখাযায়, উপজেলার জনতা কলেজ থেকে দক্ষিণে কার্ত্তিকপাশা মুন্সীরবাজার সড়কে শরীফবাড়ী সংলগ্ন আয়রণ ব্রিজের উভয় দিকের অন্তত দুইতৃতীয়াংশ স্লীপার ভেঙ্গে জনচলাচল মারাত্মক ভাবে বিঘ্ন হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে নিত্য চলাচলকারী বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত ছাত্র-ছাত্রীসহ ১০গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।

এলাকাবাসী ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি করে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নির্বিকার। এছাড়া লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের যাতায়াতের একমাত্র আয়রন ব্রিজটি নরবরে অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। য়ে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। লেবুখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ-আলম আকন বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রকল্প দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত ব্রিজগুলো সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রমতে, সরকারী হিসেবে উপজেলা শ্রীরাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৪টি, লেবুখালী ইউনিয়নে ১৫টি, আংগারিয়া ইউনিয়নে ৮টি, মুরাদিয়া ইউনিয়নে ১০টি ও পাংগাশিয়া ইউনিয়নে ৫টি মোট ৪২টি সংস্কারবিহীন আয়রণ ব্রিজ আছে। কিন্তু বাস্তবে ৫ইউনিয়নে আয়রণ ব্রিজের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।

এসব আয়রণ ব্রিজগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার বিহীন পড়ে থাকায় একদিকে জনচলাচলে চরম ভোগান্তি বাড়ছে অপর দিকে লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের সরকারী সম্পদ ধীরে ধীরে নষ্ট/অপচয় হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর নিত্য চলাচলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসব আয়রণ ব্রিজগুলো অগ্রাধিকার বিবেচনায় দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, আয়রণ ব্রিজগুলো সংস্কারের প্রকল্প প্রস্তাব প্রধান প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেয়ে দ্রুততার সাথে সংস্কার কাজ আরম্ভ করা হবে।

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ২০:০৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জেউ/এমএএস