যশোর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বিপুলের বিরুদ্ধে সমন জারি

যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। ফাইল ছবি

যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করেছেন। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের (কেশবপুর) বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এদিন কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আযহারুল ইসলাম মানিক আদালতে ৫০ কোটি টাকার মানহানির একটি পিটিশন দাখিল করেন। পিটিশনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, যশোর অফিসের দুই সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম ও মাসুদ আলমকে আসামি করা হলেও আদালত তা আমলে নেয়নি

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে ‘হত্যা পরিকল্পনার’ অভিযোগ সম্বলিত একটি সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আযহারুল ইসলাম মানিক এই পিটিশন দাখিল করেন।

পিটিশিনে তিনি দাবি করেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর ৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘সাংসদ শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে ‘হত্যা পরিকল্পনার’ অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তারা বিস্মিত, মর্মাহত এবং বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। মামলার এক নম্বর আসামি আনোয়ার হোসেন বিপুল সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করে যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ উত্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, তিনি কাঁঠালতলাস্থ ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসে তাকে (বিপুল) হত্যার পরিকল্পনাসহ তার (এমপি) নির্দেশে ক্যাডাররা বিপুলের নামে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

পিটিশনে আরও বলা হয়, এইসব ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক’ বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে শাহীন চাকলাদারের মতো একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সৎ, যোগ্য, ত্যাগী নেতার সুনাম ও সুখ্যাতি বিনষ্ট করেছেন আসামিরা। এ কারণে সংসদ সদস্য ও বাদীর সম্মানহানি হওয়ায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ায় তিনি এই মামলা করেছেন। এই মামলায় আসামি করা হয় মোট চারজনকে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম পিটু জানান, বিজ্ঞ আদালত আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। বাকি তিন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেননি। আদালতের পরবর্তী ধার্যদিন ৭ অক্টোবর।