যশোরে করোনা সংক্রমণের গতি কমে আসছে

যশোরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পাঁচ মাস পর সংক্রমণের গতি কমে আসতে শুরু করেছে। কমে আসার এই গতি সাময়িক বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন অফিস। সেই সাথে এই অবস্থা ধরে রাখতে হলে সবাইকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের ১২দিনে এক হাজার ৮০২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭১জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আগস্টে একই সময়ে ৬০৪জন করোনা সংক্রমণ রোগী শনাক্ত হয়। আগস্টের প্রথম ১২দিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় এক হাজার ৬২৫টি।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা রেহেনেওয়াজ বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১৫হাজার ৬১টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৪হাজার ৩৫০টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এখনো ৭১১টি নমুনা পরীক্ষার ফল অপেক্ষাধীন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রতিবেদনে ৩হাজার ৬৩৯জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে দুই হাজার ৩৫৫জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৬জন ও বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক হাজার ২০২জন। এছাড়া ৪২জন মারা গেছেন।

রেহেনেওয়াজ বলেন, শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় থেকে ১৭৯টি নমুনা পরীক্ষার ফল দিয়েছে। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬জন। আজকের ২৬জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ২২জন, চৌগাছায় ২জন এবং ঝিকরগাছা ও কেশবপুরে ১জন করে আক্রান্ত হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ১২ এপ্রিল যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার একজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের মধ্য দিয়ে এ জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৫৫ জন। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০৪জন। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত জেলায় এক হাজার ৬৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০৬ জনে। এই মাসে দুই হাজার ৪৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুলাই থেকে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। জুলাই মাস শেষে আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ৭৮৫জনে। আগস্টে এক হাজার ৪৮২জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই মাসে নমুনা পরীক্ষা হয় চার হাজার ৫৩৮টি।

এর আগে ২৭ জুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। ১৩ জুলাই ৯২তম দিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ও ৬আগস্ট দুই হাজার, ২৬আগস্ট তিন হাজার ও ৭সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়ায়।

যশোর সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে জেলা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ ভাগ এর কাছাকাছি ঘুরাঘুরি করছে। যা আগস্টের তুলনায় কিছুটা কম। এটাকে আমরা সাময়িক নিম্নমুখী বলে উল্লেখ করছি। তবে দীর্ঘমেয়াদি করোনা সংক্রমণ কমানো জন্য সবাইকে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। সংক্রমন যদি ৫% এর নিচে আসে তখন বলা যাবে ভাইরাসটি সংক্রমণের গতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ২২:৫৬:৩৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আক/এনআফটি