যশোর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে দেখতে চাই-কাজী রফিকুল ইসলাম

১৯৪২ সালে ব্রিটিশ সরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে যশোরে বিমান ঘাঁটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। ছয় মাসের মধ্যে ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর উপযোগী একটি বিমান বন্দর চালু হয়। ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এই বিমান ঘাঁটি সচল ছিল। এরপর ভারত ভাগ হলে ১৯৫০ সালে যশোরে পাকিস্তান সেনা বাহিনী ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করে। ১৯৫৬ সালে যশোরে পুর্নাঙ্গ বিমান বন্দর চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে যশোরে পূর্নাঙ্গ বিমানবন্দর চালু হয় ১৯৬০ সালে। পিআইএ চট্টগ্রাম, যশোর ও ঈরশ্বদী থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে।

যশোর বিমান বন্দরটি বাংলাদেশের যশোর শহরে অবস্থিত একটি অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর। বিমান বন্দরটি বাংলাদেশ বে-সামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ বিমান বন্দরটিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাটি মতিউর রহমান, যশোর এর অংশ হিসাবে এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমীর প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

ঐতিহাসিক এই বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর করার দাবি জানিয়েছেন মাগুরার কৃতি সন্তান সাবেক ছাত্র নেতা, মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিষদের মহাসচিব, বৃহত্তর যশোর সমিতি ঢাকা এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বৃহত্তর যশোর উন্নয়ন ও বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রাচীন জেলা শহর যশোর। বৃহত্তর যশোর উন্নয়ন ও বিভাগ বাস্তবায়নের লক্ষে ইতিমধ্যে আমরা ১১ দফা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঢাকা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা সহ বিভিন্ন জেলাতে ইতিমধ্যে মানববন্ধন, প্রেসব্রিফিং এবং গণসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের ১১ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হল যশোর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রুপান্তর করা। যশোর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর করা হলে এ অঞ্চলের শিল্প, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশের দক্ষিণ, পশ্চিমাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রানের দাবি যশোর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে দেখতে চাই।

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১২:৪৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএম/এমএআর