যশোরে কমেছে শনাক্ত রোগী

যশোরে দুই সপ্তাহে করোনা শনাক্ত রোগী কমেছে দুই দশমিক ০৭শতাংশ। তবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলে তা এখনো ২০ শতাংশের নিচে আসেনি। গত ১৩দিনে দুই হাজার ৫০২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬০৩জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা মোট নমুনা পরীক্ষার ২৪ দশমিক ১০শতাংশ। গত ২৩আগস্ট শনাক্তের হার ছিল ২৬দশমিক ১৭ শতাংশ।

এদিকে শুধুমাত্র সেপ্টম্বরের পাঁচ দিন হিসাব করলে নমুনা পরীক্ষায় তুলনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০দশমিক ০০ শতাংশ। এই পাঁচ দিনে ৮৯০টি নমুনা পরীক্ষার বিপরিতে ১৭৮জন শনাক্ত রোগী পাওয়া গেছে। যা আগস্টের তুলনায় তা অনেক কম। আগস্টে শনাক্তের হার ছিল ৩২দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগস্টে চার হাজার ৫৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ৪৮২জন অদৃশ্য ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত হন।

এদিকে পাঁচ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার ২৫ দশমিক ৭৮শতাংশ মানুষের শরীরে মিলেছে ভাইরাসটি। যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত যশোরের করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১৪হাজার ১৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৩হাজার ৩৬১টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এখনো ৮০৩টি নমুনা পরীক্ষার ফল অপেক্ষাধীন।

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রতিবেদনে ৩হাজার ৪৪৫জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এই হিসেবে মোট পরীক্ষার ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ মানুষের শরীরে মিলেছে ভাইরাসটি। এসব আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন দুই হাজার ৮৫জন এবং মারা গেছেন ৩৯জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কেউ মারা যায়নি।

এদিকে সর্বশেষ ২৪ঘন্টায় নতুন ৩৭জন এই ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩জন, অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলায় ৪জন করে, শার্শায় ৩জন এবং ঝিকরগাছা, কেশবপুর ও চৌগাছায় ১জন করে করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১২ এপ্রিল যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার একজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের মধ্য দিয়ে এ জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৫৫ জন। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০৪জন। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত জেলায় এক হাজার ৬৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০৬ জনে। এই মাসে দুই হাজার ৪৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুলাই থেকে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। জুলাই মাস শেষে আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ৭৮৫জনে। আগস্টে এক হাজার ৪৮২জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই মাসে নমুনা পরীক্ষা হয় চার হাজার ৫৩৮টি।

এর আগে ২৭ জুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। ১৩ জুলাই ৯২তম দিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ও ৬আগস্ট দুই হাজার ও ২৬আগস্ট ছাড়ায় তিন হাজার।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ বলেন, যশোরে করোনা শনাক্ত রোগী কমেছে এই কথা বলা যাবে না। দেশের সার্বিক তুলনায় যশোরে শনাক্তের হার এখনো অনেক বেশি। গত কয়েকদিন কিছুটা কম ফল পাওয়া গেছে। এটা যেকোন মুহূর্তে বেড়ে যেতে পারে।