৫ দিনের আল্টিমেটাম, ২৫ দিনেও খুলে দেয়া হয়নি ‘পোর্ট কানেক্টিং সড়ক’

চসিক প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে ২৫ পূর্ণ করলো নব নিয়োগপ্রাপ্ত চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গত আগস্টের ৬ তারিখ বিদায়ী মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন তাকে চসিক প্রশাসকের দায়িত্ব তুলে দেন।

চসিক প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের এই ২৫ দিনে সুজন জনপ্রিয় হতে দ্রুত কিছু একটা করার চেষ্টা করছেন? দায়িত্ব নেয়ার পর পরই তিনি অনেক হাঁক-ডাক দিয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণের দিন বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি বলেন, ‘যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা তওবা করে ফেলেন’। ‘আমি সমালোচনাকে ভয় পাই না’। ‘আমি ১৮০ দিন সময় পেয়েছি, ১৮০ দিনই রাস্তায় থাকব’। ‘পুকুরে নামতে দেন, নামলে তখন দেখবেন আমি কিভাবে সাঁতার কাটি’। ‘চসিক হচ্ছে দুর্নীতির একটা অজগর সাপ, এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছি’

শুধু তাই নয়, নগরবাসীর দুর্ভোগের কারণ জানতে নিজে স্কুটি চালিয়ে নগর পরিদর্শনেও নেমেছেন (চসিক) প্রশাসক। নাম দিয়েছেন ‘নগরসেবায় ক্যারাভ্যান’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির স্লোগান হচ্ছে, ‘যেখানে সমস্যা, সেখানেই সমাধান’। কিন্তু দেখা যায় স্কুটি নিয়ে যেখানেই তিনি যান তার পেছনে থাকে বিশাল মোটরসাইকেল বহর। তাতে নেই কোন সামাজিক দুরত্ব, অনেকেরই মুখে থাকেনা মাস্ক। ফলে সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকির সমস্যা।

এদিকে গত ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। দায়িত্ব গ্রহণের ৭ দিনের মাথায় দুই বিভাগের ৪২ জন এবং ১২ দিনের মাথায় ৪৮ জন কর্মকর্তাকে একসাথে রদবদল করেন।

অন্যদিকে খোরশেদ আলম সুজন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমদিনেই নগরীর পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) সড়কের সংস্কার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। সেসাথে ৫ দিনের মধ্যে পোর্ট কানেক্টিং সড়ক খোলে দেওয়ার আল্টিমেটামও দিয়েছেন। কিন্তু চসিক প্রশাসকের প্রথম পদক্ষেপেই বাস্তবায়ন হয়নি। ৫ দিনের মধ্যে পোর্ট কানেক্টিং সড়ক খোলে দেয়ার নির্দেশের ২৫ অতিবাহিত হওয়ার পরও পোর্ট কানেক্টিং সড়ক খোলে দেয়া হয়নি। কবে নাগাদ খোলে দেওয়া হবে তাও অনিশ্চিত। অর্থাৎ চসিক প্রশাসকের প্রথম পদক্ষেপেই ‘বিসমিল্লায় গলদ’।

নতুন চসিক প্রশাসক হিসেবে খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব গ্রহণের পর তড়িৎ বেশকিছু কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে ২৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর দেখা যায় ঘোষিত কর্মসূচির খুব কমই বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকিগুলো সীমাবদ্ধ কেবল ঘোষণাতেই।

প্রসঙ্গত, জাপান উন্নয়ন সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরে পণ্যবোঝাই যানবাহন চলাচলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পিসি সড়ক। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এই পিসি রোডের ৫.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১২০ ফুট প্রস্থের সংস্কার কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল চলতি বছরের জুনে। কিন্তু সড়কটির কাজ শেষ হয়নি। তৎমধ্যে নিম তলা থেকে সাগরিকা রোডের মুখ পর্যন্ত সড়কের অধিকাংশ সংস্কার কাজ সমাপ্ত করেছে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

আগস্ট ৩১, ২০২০ at ২০:৪০:৫৪ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএম/এনআফটি