ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটারের অবস্থা বেহাল 

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ শহর থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কে আবারো ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই ১৫ কিলোমিটারের মাঝে দুই কিলোমিটার রয়েছে চলাচলের উপযোগি। বাকি ১৩ কিলোমিটার দুরবস্থা এর এক দুঃখজনক উদাহরণ। গর্তে ভরা এই সড়ক যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের নাজেহাল করে ছাড়ছে, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। চলতি বছরের শুরুর দিকে এ মহাসড়কটি নতুন করে করা হলেও ৬মাস যেতে না যেতেই সেই বেহাল দশা দেখাযায় আবার।
বর্তমানে মহাসড়কে পিচ-পাথর উঠে অনেক স্থানে এতো বড় গর্ত তৈরী হয়েছে যে, গর্তে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঝে মধ্যে পিচ রাস্তায় ইটের সলিং করে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে ও তা ধীরে ধীরে আবারো চলাচলের অযোগ্য হতে চলেছে এই মহাসড়কটি।
ওই সড়কে চলাচলকারী একাধিক যানবাহনের চালকরা বলছেন, মাত্র ২৫ মিনিটের পথ এখন ১ ঘন্টাও যাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া এই ভাঙ্গাচুরা সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক স্থানেই গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকছে। মাঝে মধ্যে নামমাত্র সংষ্কার করা হচ্ছে, যা সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এই মহাসড়কে কর্তৃপক্ষের সু-নজর নেই।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহের হামদহ বাসষ্টান্ডে পর থেকে লাউদিয়া, চুটলিয়া, তেতুলতলা, বিষয়খালী, কয়ারগাছি, ছালাভরা, বেজপাড়া, খয়েরতলা, নিমতলা বাসষ্টান্ড, কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্টান্ড এলাকায় বিটুমিন (পিচ) আর পাথর উঠে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই সকল স্থানে বর্তমানে এমন অবস্থা বিরাজ করছে যা যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের নাজেহাল করে ছাড়ছে। সড়ক বিভাগ থেকে মাঝে মধ্যে সংষ্কার করা হলেও সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো ভালো হচ্ছে না। সংষ্কারের এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
ট্রাক চালক সরিফুল ইসলাম জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগ হচ্ছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক। যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ঝিনাইদহের উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল করে। মোংলা নৌবন্দর থেকেও মালামাল নিয়ে ট্রাক চালকরা এ জেলার উপর দিয়েই উত্তরবঙ্গে যান। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু সড়কটির ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ভেঙ্গেচুরে যাওয়ায় অতিরিক্ত সময়ের পাশাপাশি তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী  প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউল হায়দার জানান, এই সামান্য সড়কটুকু নিয়ে তিনিও বিপদে আছেন। চেষ্টা করছিলেন পিএমপি প্রকল্পের আওতায় সড়কটুকু সংষ্কারের। সে লক্ষে উচ্চপর্যায়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আশা করছেন দ্রুত সড়কটি সংষ্কারে বরাদ্ধ মিলবে তারাও কাজ করাতে পারবেন। তবে আপাতত চলাচলের জন্য উপযোগি রাখতে ক্ষুদ্র মেরামত চলছে বলে তিনি জানান।