রাজশাহীতে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৪ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ধান রোপন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার নয়টি উপজেলার চাষিরা। ইতিমধ্যে উপজেলার অধিকাংশ জমিতে ধান রোপন কাজ প্রায় শেষ হয়েছে ৯০ ভাগ। আর কয়েকদিনের মধ্যে বাকি ১০ ভাগ জমিতে ধান লাগানো শেষ হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রোপন শেষ হবে বলে আশা করছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এবার রাজশাহীতে মোট ৭৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উপশী) জাতের রোপা-আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নয়শত ৬১ হেক্টর জমিতে (কালোজিরা-চিনি আতব) ধান রয়েছে।

প্রতিবছরের মত এবারো জেলার তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় এলাকায় সবচেয়ে বেশি মৌসুমী ধান রোপন করা হয়েছে। আর মাত্রাতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে জেলার বাগমারা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, পুঠিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোপনের পর এই বর্ষায় এবার এই উপজেলাগুলোতে রোপা আমন ধানের মোট ক্ষতির পরিমাণ দ্াঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯০০ হেক্টর ।

এ বছর রোপা-আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৪ মেট্রিকটন। আর চালের লক্ষ্যমাত্রা ২ লক্ষ ২৪ হাজার ১৪৯ মেট্রিকটন। যা গত বছর ছিলো ৭৪ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে ২ লক্ষ ১৯ হাজার ২৪৩ মেট্রিকটন। এবার জেলাতে ৫ হাজার বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শামছুল হক বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার একটু বেশি ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে অতি বৃদ্ধিতে কিছু এলাকায় বন্যা হওয়ায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি।

এই ক্ষতি হলেও আমরা তা পুষিয়ে নিতে পারবো। কারণ সিংহভাগ তানোর গোদাগাড়ীতে হয়। সেখানে জমি উঁচু জায়গা হওয়ায় ক্ষতি হয়নি।