বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই গাইবান্ধায় আমন চাষের ধুম

গাইবান্ধায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলোতে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা ব্যাপকভাবে আমন চারা রোপনের কাজ শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, এবারে জেলায় ১ লাখ ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে উফসী, ১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন চাষের কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। আমন চাষ সফল করতে ইতিমধ্যে ৬ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে বীজতলা স্থাপন করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক বন্যায় এবারে জেলায় ৮৫ হেক্টর জমির আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর সাহায্যে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন রোপা লাগানো সম্ভব হতো। কৃষি বিভাগ এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ১০৫ হেক্টর জমিতে বিশেষ ব্যবস্থায় বীজতলা স্থাপন করেছে। এর সাহায্যে ৭ হাজার বিঘা জমিতে আমন চাষ সম্ভব হবে।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, বীজতলার ক্ষতি আমন চাষে কোন প্রভাব ফেলবে না। জেলায় যে বীজতলা স্থাপন করা হয়েছে তা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন চাষ করেও উদ্বৃত্ত হবে।

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে জেলায় ৮৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন রোপা লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারা রোপনের কাজ অব্যাহত থাকবে। এতে এই বোরো লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে এবারে জেলায় ৩ লাখ ৪১ হাজার ৬০৯ মে. টন আমন চাল উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দেশদর্পণ/আক/এসকেবি/এমএএস