নবীনগরের ইব্রাহিমপুরে হবি গ্রুপ ও হানু গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের ইব্রাহীমপুর গ্রামের ০৯ নং ওয়ার্ডের পাল বাজার সংলগ্ন হবি গ্রুপ ও হানু গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন পূর্বে মাছ কেনা কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হলে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা হয়, তারই জেরধরে আজ সকাল ৮ ঘটিকায় উভয় পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হলে ৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে আলম নামের একজন মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,বিগত কিছুদিন পূর্বে হবি গ্রুপ ও হানু গ্রুপের মধ্যে মাছ কেনা কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হলে নবীনগর থানায় মামলা হয়, মামলার বিষয়টি শেষ করে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় ইউ/পি চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিলে করোনা পরিস্থিতির কারনে দেরি হওয়ায় আজ সকালে উভয় পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে হবি গ্রুপের আলম মিয়া(৬৫),নুরুজ্জামান (৩০),সাহারা বেগম(৫৫), ও হানু গ্রুপের দুলাল(৩৫) আহত হলে নবীনগর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে,এদের মধ্যে আলম মিয়া,নুরুজ্জামানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়।

এই বিষয়ে নুরুজ্জামানের স্ত্রী বলেন, প্রতিপক্ষের কামরুল,সাবেক মেম্বার মন মিয়া, রইছ মিয়া, আলম, দুলাল, জয়নাল, মুখলেস, জিলানী, শাহার আলী ছেলেরা সহ ৪০/৫০ লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সকাল বেলায় আমাদের লোকজন উপরে হামলা করেন, রইছ মিয়া আমার স্বামীরকে ধরে রাখেন আর কামরুল দা দিয়ে আমার স্বামীর পায়ের রগ কেটে দেয়, বাকীরা মাথায় রাম দা দিয়ে আঘাত করে, হাতে আঘাত করে এবং তারা আলম মিয়াকেও মেরে ফেলার জন্য রাম দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠি আরো বলেন, আমি গরীব মানুষ যদি আমার স্বামীর কিছু হয় তবে আমি সন্তানদের নিয়ে কিভাবে বাঁচব আমি তার বিচার চাই।

ঘটনার প্রত্যেহ্মদর্শী,শাহানা বেগম বলেন,হানু গ্রুপের লোকেরা ঝগড়ার জন্য ডাক দিয়ে গালাগালি করতে করতে আলম মিয়ার বাড়িতে ঢুকে আলম মিয়া, নুরুজ্জামানকে এলোপাতাড়িভাবে দা দিয়ে কুপাতে থাকে আর হাঁকডাক দিতে থাকে যে, যাকে সামনে পাই তাকে আজ শেষ করে ফেলব।

এই বিষয়ে হানু গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে গিয়ে পুরুষ কাউকে না পেয়ে দুলাল মিয়ার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আজ সকালে হবি গ্রুপের নুরুজ্জামান, এরশাদ সহ ১০/১৫ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ি ঘরে আক্রমণ চালিয়ে মহিলাদের মারধর করে আমার স্বামীকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। আলম ও নুরুজ্জামান যে গুরুতর আহত হয়েছে তাদের লোকের আঘাতে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন এটা মিথ্যা তারা তাদের লোকজনের আঘাতে আহত হয়েছে।

এই বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন,এখনো মারামারির বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি কিন্তু ঘটনাটি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দেশদর্পণ/আক/এমআইসি/এমএএস