প্রেম ভেঙে যাওয়ায় ঢাবি ছাত্রের আত্মহত্যা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন সোমবার (১৭ আগস্ট) সকালে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যা করার আগের দিন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক একাউন্টে ‘আল বিদা’ একটি সংক্ষেপে পোস্ট করছিলেন ইমাম। তিনি কবি জসীমউদদীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায়।

তাৎক্ষণিকভাবে তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে তার ফেসবুক একাউন্ট ঘেঁটে দেখা যায় ফেসবুকে অনেক দিন ধরেই আত্মহত্যা বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে আসছিলেন ইমাম হোসেন। তার বন্ধুদের ধারণা, হয়তো প্রেমঘটিত কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়াও তার এক বান্ধবীর সাথে ছবি দিয়ে পুরানো সময়গুলো ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে দেয়া বেশ কয়েকটি পোস্ট এখনো জ্বলজ্বল করছে ইমামের টাইমলাইনে।

তার বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, ইমামের গ্রামের বাড়িতে তার কাছে কিছু স্থানীয় শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে আসতো। আজ সকাল আটটার দিকে তারা আসলে ইমাম তাদের ছুটি দিয়ে দেয়। এরপরই তিনি বাসার সিলিংফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পরে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তার পরিবার।

কবি জসিমউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সে তার গ্রামের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট’র পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল মালেক জানান, আমি ঘটনার বিষয় একজনের কাছ থেকে শুনেছি। তবে কোন আত্মীয়, শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে ঘটনার ব্যাপারে কোন তথ্য দেয়নি। তাই আমি ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট কোন তথ্য জানি না। আমি সর্বোচ্চ খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। আমরা আরও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানার চেষ্টা করছি, কেন, কীভাবে সে আত্নহত্যা করলো। সত্যি যদি এটি হয়ে থাকে তাহলে এটি মর্মান্তিক এবং সাংঘাতিক বেদনাদায়ক।