নবীনগরে আ. লীগ নেতার ছেলের নারি কেলেংকারীতে ৪টি পরিবারের ঘুম হারাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে রছুল্লাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লহরী গ্রামের সাজু মিয়া তার আপন বড় ভাই মারা যাওয়ার পর তাদের সন্তানদের কথা চিন্তা ভাবীকে বিয়ে করেন, সেই ভাইয়ের সন্তান মোঃ জসিমউদদীন( ২৮) তারই আপন মামাতো ভাইয়ের বউ ২ সন্তানের জননীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে কেলেংকারীতে লিপ্ত থাকার পর অবশেষে কোর্টে বিয়ে করেন কিন্তু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে যৌতুকের দাবিতে তাকে অস্বীকার করায় আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট আদালতে যৌতুক নিরোধক আইনে একটি সি/ আর মামলা দায়ের করেন।

তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে সরজমিনে গেলে জানা যায়,লহরী গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার (২৭) এর স্বামী জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রবাসী চলে গেলে তারই আপন ফুফাতো ভাই রছুল্লাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু মিয়ার সৎপুত্র মোঃ জসিমউদদীন এর সাথে দীর্ঘ ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেন, এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাতের আধাঁরে কুকর্মে লিপ্ত ছিলেন তারা, তাদের এই সম্পর্কের কিছুদিন যাওয়ার পর জসিমউদদীন তারই প্বার্শবর্তী শ্রীরামপুর গ্রামে বিয়ে করে ফেলেন, এই খবর শুনার পর থেকে প্রবাসীর স্ত্রী আয়েশা তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সে বাধ্য হয়ে বিগত ১৬/০৩/২০২০ই তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে কোর্ট এভিডেভিড করে বিবাহ করেন।

বিগত ৩০/০৭/২০২০ইং তারিখে বিষয়টি জানাজানি হলে আওয়ামী লীগ নেতা সাজু বিষয়টি দামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেন এবং মেয়ে পক্ষকে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিতে থাকেন, এই সম্পর্কে আয়েশা আক্তার বলেন,আমি সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে অনেক টাকা পয়সা দিয়েছি আমার আর জসিমের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ ২ বছর, সে বিয়ে করবে বলে বহু বার আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেন।

আমাদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে সে আমাকে ১০ লাখ টাকা কাবিন ধার্য্য করে আদালতে বিয়ে করেন। ইতিপূর্বে সে আমাকে না জানিয়ে আরেকটি বিয়ে করে ফেলায় ঘটনাটি আমি জেনে গিয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে আমাকে শান্তনা দিয়ে বলে খুব তাড়াতাড়ি ঐ বউকে ছেড়ে দিবে।

কিন্তু আমি তার কথা মত অপেক্ষা করে কোন ফলাফল না পাওয়ায় তার সৎবাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাজু মিয়াকে অবগত করলে সে আমাকে নৌকা দিয়ে অনত্রে নিয়ে গিয়ে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে ভয় দেখিয়ে বলে কারো কাছে যদি বিষয়টি বলি তবে আমার বিরাট ক্ষতি করা হবে। শুধু তাই নয় তারা আমাকে মেরে ফেলার জন্য কোমল পানির সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়ে ছিল।

আমি নিরুপায় হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে মামলা করেছি, সে আরো বলেন,আমি তার সংসারে ফিরে যেতে চাই,আমি এখন তার প্রতারণার স্বীকার হয়ে স্বামী সংসার হারিয়েছি।

এই সম্পর্কে জসিম বলেন,আমি তাকে ভাল করতে গিয়ে ভালবেসে ফেলেছি, পরবর্তীতে আমি পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে তাকে বিয়ে করেছি, এখন আমার স্ত্রী সন্তান রয়েছে আমি তাদের নিয়ে থাকতে চাই।

দলীয় প্রভাবের বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ নেতা সাজু বলেন,সত্যি ঘটনাটি দুঃখজনক আমি বিষয়টি যখনই শুনেছি তখন থেকে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, এমনকি তাকে একা নিয়ে গিয়ে বুজাতে চেয়েছি বিষয়টি ভূলে যেতে।

দেশদর্পণ/আক/এমএসসি/এমএএস