মাগুরার মহম্মদপুরে টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন নাশকতা মামলার আসামি

নাশকতার মামলার আসামিকে মাদরাসার নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেয়ার খবরে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা বাসীর মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে মহম্মদপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই পদের প্রার্থী আরিফুর রহমান নামে এক যুবক।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, মহম্মদপুর বরকতিয়া এসআরএ দাখিল মাদরাসার নৈশ প্রহরী নিয়োগের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক তিনিসহ আরো অনেকে আবেদন করেন। কিন্তু মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও মাদরাসার সুপার অর্থের বিনিময় মফিজুর রহমান নামে অপর এক জনকে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম দেখিয়ে নিয়োগ চুড়ান্ত করেছে।

উল্লেখিত, মফিজুর রহমান ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর মহম্মদপুর থানা পুলিশের অভিযানে নাশকতামূলক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৯ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়। তার বিরুদ্ধে ওই থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা (০৬, তাং ২৫.১২.১৮) রয়েছে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মফিজুর রমানের জন্ম তারিখ ৬ জুলাই ১৯৮৪। সে অনুযায়ী বয়স ৩৬ বছর। এই তথ্য গোপন করে মফিজুর রহমান ৮ম শ্রেণী পাশের প্রশংসাপত্রে বয়স কম দেখিয়ে আবেদন করেছে।

এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার ওহিদুজ্জামান জানান, নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল এখনো চুড়ান্ত করা হয়নি। মফিজুর রহমানের দাখিল পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার বয়স এখনো আছে। মহম্মদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘’বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত আছে। অভিযুক্ত মফিজুর রহমান বলেন, ‘‘চাকুরী বিধি মেনেই আমি আবেদন করেছি। মেধার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রথম হয়েছি। মামলাসহ সব অভিযোগই ষড়যন্ত্র।’’

১৪ আগস্ট, ২০২০ at ১২:৪৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএম/এমএআর