নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন নাশকতার মামলার আসামি

মাগুরার মহম্মদপুরে নাশকতার মামলার আসামিকে মাদরাসার নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেয়ার খবরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে পুরো উপজেলার চলছে সমালোচনার ঝড়। শুধু তাই নয়, নিয়োগ পেতে নাশকতা মামলার ওই আসামি জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ও নিয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে মহম্মদপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসারসহ শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মহম্মদপুর বরকতিয়া এসআরএ দাখিল মাদরাসার নৈশ প্রহরী নিয়োগের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক অনেকে আবেদন করেন। কিন্তু মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও মাদরাসার সুপার অর্থের বিনিময় মফিজুর রহমান নামে একজনকে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম দেখিয়ে নিয়োগ চুড়ান্ত করেছেন।

আরও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে আমেরিকা প্রবাসীর অথ্যায়নে ত্রাণ বিতরণ
ঝিনাইদহে গণপরিবহনে পুলিশের অভিযান
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৭ লাখ ৪৮ হাজার

আর এই মফিজুর রহমানের নামে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর মহম্মদপুর থানা নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করার অভিযোগে মামলা হয়। পুলিশের অভিযানে নাশকতামূলক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৯ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়। (যার মামলা নং ০৬,তাং ২৫.১২.১৮)। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মফিজুর রমানের জন্ম তারিখ ৬ জুলাই ১৯৮৪। সে অনুযায়ী বয়স ৩৬ বছর। এই তথ্য গোপন করে মফিজুর রহমান অষ্টম শ্রেণী পাশের প্রশংসাপত্রে বয়স কম দেখিয়ে আবেদন করেছে।

এ বিষয়ে মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট ওহিদুজ্জামান জানান, নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল এখনো চুড়ান্ত করা হয়নি। মফিজুর রহমানের দাখিল পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার বয়স এখনো আছে।

মহম্মদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন,‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত আছে। অভিযুক্ত মফিজুর রহমান বলেন,‘চাকুরী বিধি মেনেই আমি আবেদন করেছি। মেধার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রথম হয়েছি। মামলাসহ সব অভিযোগই ষড়যন্ত্র।’

দেশদর্পণ/আক/বিএমএফ/এমএএস