কেশবপুরের ডহুরী জলমহল নিয়ে চক্রান্তের অভিযোগ

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ডহুরী নদী ও গোদার খালের ২৩.০৫ একর সরকারি জলমহল নিয়ে চক্রান্তের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ১৯৭২ সালে রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ডহুরী নদী ও গোদার খালের ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত সর্বচ্চো ডাকদাতা হিসাবে আমরা আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ইজারা নিয়ে মৎস্যচাষ করে আসছি।

বিলখুকশিয়ায় টি.আর.এম. প্রকল্প ১০ বছর চালু থাকায় বিলে জোয়ার-ভাটার কারণে ভেড়ী বাঁধ না থাকায় সরকারি ২৩.০৫ একর জমি ভূমি জরিপ আমিন দিয়ে সীমানা চিহ্নিত করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকা খরচ করে দুটি ভেড়ী বাঁধ তৈরী করেছি যা বর্তমানে দৃশ্যমান রয়েছে।

গত ২ জুলাই যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৯৭২ সালে রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত আমাদের আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি এবং ২০২০ সালে কাঁকবাধাল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নাম দিয়ে ডহুরী নদী ও গোদার খালের জলমহল টেন্ডারে অংশ নেয়।

আমাদের আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও কাঁকবাধাল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ২ লাখ ২শত ২২ টাকা ব্যাংক বিডি করায় আমরা সর্বোচ্চ ডাকদাতা হই। সর্বোচ্চ ডাকদাতা হিসাবে যশোর জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ৩ বছর মেয়াদী ইজারার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ইজারা প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি সর্বোচ্চ ডাকদাতা হওয়ার কারণে ডহুরী নদী ও গোদার খাল আমাদের দখলে রয়েছে। এদিকে কাঁকবাধাল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ইজারা না পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

তাঁরা কাঁকবাধাল গ্রামের মৃত হাশেম আলী গাজীর পূত্র সিরাজুল ইসলাম গাজীকে আমরা সাব-লিজ প্রদান করেছি মর্মে সমিতির পক্ষে সুজন কান্তি মন্ডল একটি লিখিত অভিযোগ যশোর জেলা প্রশাসকের বরাবর করেছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

অভিযোগটি সাংবাদিকদের সরবরাহ করায় যশোরের কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি কাঁকবাধাল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দকে আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করার অনুরোধ জানান।

দেশদর্পণ/আক/এসএম/এমএএস