রাজশাহীতে ছোট ভাইয়ের হামলায় বড় ভাই আহত

রাজশাহী নগরীতে দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে মোঃ খাজদার আলী (৫৯) নামের এক মুদি ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে ছোট ভাই সাইদার আলী।

এ সময় তারা মুদির দোকানে প্রবেশ করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলেছে পন্য সামগ্রী। নিয়ে গেছে ক্যাশ বাক্সের ভেতরে থাকা নগদ প্রায় লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় আহত মোঃ খাজদার আলী বাদি হয়ে মতিহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গত মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধিন বাজে কাজলা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত খাজদার আলী ওই এলাকার মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে। অপর দিকে হামলাকারী তারই আপন ছোট ভাই (রা:বি কর্মচারী) মোঃ সাইদার আলী (৫৫) ও তার নিজের দুই ছেলে শান্ত (২৮),শ্যামল (৩০)।

মোঃ খাজদার আলী জানান, বাড়ির সিমানা নিয়ে তার ছোট ভাই সাইদার আলীর সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত প্রায় এক মাস পূর্বে একই কারনে তার ছোট ভাই ও ভাতিজাদের সাথে তাদের মারপিটের ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনায় উভয়পক্ষ মতিহার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

পরে মতিহার থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই টিএম সেলিম রেজার উপস্থিতিতে ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাদের সিমানা নির্ধারন করাসহ আপোষ মিমাংসা হয়।

গত সোমবার (১০ আগস্ট) নির্ধারন করা সিমানায় মোঃ খাজদার আলী প্রচির নির্মান করেন। কিন্তু তার ছোট ভাই সাইদার আলীর দাবি, প্রাচি যতটুকু উঁচু করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তিনি জানালা পর্যন্ত উঁচু করার দাবি জানান। তবে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত মেনে নেই আমি।

তিনি আরো বলেন, গত মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে আমি দোকানে খদ্দেরের সাথে কথা বলছি। এমন সময় আমার ছোট ভাই সাইদার ও তার দুই ছেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার উপর অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় তারা ইট দ্বারা মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

একই সময় আমার দুই ভাতিজা জিআই পাইপ দ্বারা বুকে, ঘাড়ে ও পুরো শরীরে আঘাত করে। আমি পড়ে গেলে তারা দোকানের ভেতর প্রবেশ করে মালামাল ছিটিয়ে ফেলে ও ক্যাশে থাকা প্রায় লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

পরে আমার ছেলে সোহান আমাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাথার ক্ষত স্থানে ৩টি সেলাই দেন। এছাড়াও বুক ও ঘাড়ে আঘাতের জন্য এক্সরে করার পরামর্শ দিয়ে ওষুধ লিখে ছুটি দেন।

জানতে চাইলে, মতিহার থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই টিএম সেলিম রেজা বলেন, উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্ত শেষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

দেশদর্পণ/আক/এমআরআর/এমএএস