জীবননগর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন করে ১৪জন করোনায় আক্রান্ত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় নতুন করে ১৪জন করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলার ১নং উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও রয়েছেন। এ নিয়ে জীবননগর উপজেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ৯৩জনে। এছাড়া উপজেলার উথলী গ্রামে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা এক মহিলার করোনা সনাক্ত হয়েছে।

প্রথম দিকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও উপজেলাটিতে হঠাৎ করেই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং ঈদ উপলক্ষে জেলার বাইরে থেকে বেশীরভাগ লোকজন গ্রামে আসার কারণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের অনেক স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জুলিয়েট পারউইন স্নিগ্ধা বলেন, “এ পর্যন্ত জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ জন স্বাস্থ্য সহকারী কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন।

বর্তমানে এই হাসপাতালের ১জন ফার্মাসিস্ট, ১জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, নার্সিং সুপারভাইজার, একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স তহমিনা খাতুন এবং ক্যাশিয়ার কোভিড পজিটিভ হয়ে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ মঙ্গলবার (১১ই আগস্ট) নতুন করে আমাদের নিরাপত্তা প্রহরীও কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এমতাবস্থায় হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে”।

আরও পড়ুন:
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগকে সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে: কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব
যশোরের আবরপুর ইউনিয়নে শোক দিবস পালনের প্রস্ততি সভা
বেনাপোলে পাটাবাঁধ অপসারণ ও নেটজাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

তবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সকলকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. মুনিম লিংকন। তবে প্রয়োজনে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, জীবননগর উপজেলায় মোট আক্রান্ত ৯৩জন রোগীর মধ্যে এ যাবৎ সুস্থ হয়েছেন ৩৮জন। আক্রান্ত রোগীদের বেশীরভাগই হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ওয়ার্ডে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

দেশদর্পণ/আক/টিআর/এমএএস