শিবগঞ্জের দাখিল মাদ্রাসায় অবৈধভাবে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের শাহ লস্কর জিলানী (রঃ) দাখিল মাদ্রাসায় সভাপতি ও সুপারের যোগসাজশে অবৈধভাবে নিয়োগ বানিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার শাহ লস্কর জিলানী (রঃ) দাখিল মাদ্রাসায় সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সুপার আঃ গফুর ও কো-অপ্ট সদস্য আশরাফুল ইসলাম ঠান্ডার যোগসাজশে নিরাপত্তা কর্মী।

আয়া পদে ২৪লক্ষ টাকায় অবৈধভাবে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ করেছেন অত্র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ওবায়দুল ইসলাম, আঃ রশিদ, লুৎফুন, অভিভাবক সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে।

অভিযোগসূত্রে আরও জানা যায়, নিরাপত্তা কর্মী পদে শোলাগাড়ী গ্রামের রহিমের ছেলে মোজাফফর হোসেনকে নিয়োগের বিষয়রি প্রায় চুড়ান্ত করা হয়েছে। দাখিল সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার বয়স ৩৬ বছর ৫মাস ২দিন।

নিয়োগবিধি অনুযায়ী ৩৫ বছরের অধিক বয়সের কেউকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান না থাকলেও গোপনে ঐ প্রার্থীর ভোটার আইডি কার্ড ও সার্টিফিকেট জাল করে নিয়োগ প্রদানের জন্য উঠে পরে লেগেছে উক্ত চক্রটি।

এছাড়াও আয়া পদে যাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সে সভাপতির নিকট আত্মীয়। এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি এলাকার কেউ জানেনা। নিয়োগের বিষয়টি কেউ যেন না জানতে পারে সে জন্য এলাকায় কম প্রচলিত পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় বলে এলাকাবাসী জানায়।

অত্র মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য ওবায়দুল ইসলাম ও লুৎফুন বলেন, আমাদেরকে নিয়োগ বিষয়ে কোন কিছু না জানিয়ে গোপনে সুপার, সভাপতি ও কো-অপ্ট সদস্য আশরাফুল ইসলাম ঠান্ডা অতি গোপনে অবৈধভাবে নিয়োজ বানিজ্যের পায়তারা করছে।

আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একই ধরণের অভিযোগ দায়ের করেছি।

অত্র মাদ্রাসার অভিভাবক নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এতোবড় দূর্নীতি মেনে নেওয়া যায়না, কিভাবে বয়স না থাকা প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে তার সুষ্ঠ বিহিত হওয়া দরকার।

অত্র মাদ্রাসার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি সুপারকে করোনা ভাইরাসের কারণে মাদ্রাসা বন্ধ থাকার মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে সমাধান করার জন্য বলেছি, আমি কোন নিয়োগ বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত নই।

অত্র মাদ্রাসার সুপার আক্রমনাত্মক ও উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে বাধ্য নই। জেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হজরত আলী বলেন, এসংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমার সাথে দেখা করেছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে এলাকার সচেতন মহল বলেছেন, সুপার একজন দূর্নীতিবাজ ও অযোগ্যব্যক্তি, সে প্রতিটি নিয়োগের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমন জঘন্য কাজ করে থাকে।