পাবলিক টয়লেটের বেহালদশা তালতলীতে

বরগুনার তালতলী বাজারে ৩টি পাবলিক টয়লেট থাকলেও দুটি টয়লেটের বেহাল দশা। অন্যটি মাঝে মধ্যে থাকে তালাবদ্ধ। ছিটকিনি, বদনা না থাকা নিয়মিত সমস্যায় পরিণত হয়েছে। তাই উন্মুক্ত জায়গায় প্রাকৃতিক কর্ম সারছেন ভাসমান মানুষ।

মাছ বাজার ও কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে টয়লেট ব্যবহার করেন নিরুপায় হয়ে। রীতিমত নাকে রুমাল চেপে কোন রকমে কাজ শেষ করতে হয়। টয়লেট ও প্রস্রাবখানায় যেভাবে ময়লা জমে আছে তাতে এডিস মশার লার্ভা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার তালতলী বাজারে ১০ হাজার লোকের বসবাস। বসবাসরত ও বহিরাগত মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন তালতলীতে চলাচল করে। চাহিদার তুলনায় তালতলী বাজারে সরকারি পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা খুবই কম। তারপরও এসব পাবলিক টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী

তালতলী বাজারের পাবলিক টয়লেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত বাজারে মধ্যে পাবলিক টয়লেটটি প্রায়ই থাকে তালাবদ্ধ।

তাছাড়া মাছ বাজার ও বড় মসজিদের সামনে পাবলিক টয়লেটগুলো ব্যবহারের অযোগ্য। কোনটির দরজা নেই, আবার দরজা থাকলেও ছিটকিনি নেই। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, অপরিষ্কার, ময়লা, দুর্গন্ধ, ভাঙা কমোড, ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে, ইঁদুর-তেলাপোকার বসবাস ও ময়লা পানি জমে থাকে। নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।

পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট না থাকায় পথচারী, হকার, রিকশাচালক, ভিক্ষুক ও ভাসমান মানুষ বিভিন্ন উন্মুক্ত জায়গায় প্রাকৃতিক কর্ম সারছেন।
তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল কবির বলেন, ‘তালতলী বাজারে একটি ছাড়া অন্য দুটি পাবলিক টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী, এটা সত্য। তবে আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেক জায়গায় পাবলিক টয়লেট স্থাপন করেছি।

তালতলী বাজারের মালীপাড়া এলাকায় নতুন পাবলিক টয়লেটের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে সেখানেও আধুনিকমানের টয়লেট থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তালতলী মাছ বাজারের একটি স্কিম তৈরি করে ঢাকা পাঠিয়েছি। যেখানে নতুন সেট নির্মাণ, রিপিয়ারিং রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকবে।পরবর্তীতে আধুনিক কসাইখানা, একটি টয়লেট, মৎস্যজীবীদের জন্য একটি অফিস রুম নির্মাণ করা হবে।