পদ্মা নদীতে চামড়া ফেলে বিপাকে ব্যবসায়ী: পরিবেশ দূষণের দায়ে ব্যবস্থা

ঈদের পর দিন কোথাও চামড়া বিক্রি করতে না পেরে পদ্মা নদীতে এক ভ্যান চামড়া ফেলে দেন সাখাওয়াত হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী ।
গত রোববার (২ আগস্ট) মহানগরীর বুলনপুর এলাকা সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এক ভ্যান ছাগলের চামড়া ফেলে দেন তিনি।

সেই ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এনিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন চামড়া ব্যবসায়ী সাখাওয়াত ।
পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এখন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

রাজশাহীর পদ্মা নদীতে চামড়া ফেলে দেওয়ার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পর সংবাদ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমেও। এরপর বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিমকে সঙ্গে নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টির সরেজমিন তদন্ত করেছেন। সুপারিশসহ সেই তদন্ত প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমাও দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল হক জানিয়েছেন, পদ্মা নদীতে চামড়া ফেলে দেওয়া ওই ব্যক্তি একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। চামড়া কেনাবেচা কিংবা সংরক্ষণের অভিজ্ঞতা নেই তার। তিনি ছাগলের চামড়া কেনার পর নাটোর ও রাজশাহীতে বিক্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্রি করতে পারেননি, সংরক্ষণ করতেও পারেননি। তাই চামড়ায় পচন ধরে। এ কারণে তিনি পদ্মা নদীর পানিতে সেই ছাগলের চামড়া ফেলে দেন।

কিন্তু তিনি চামড়া বিক্রি করতে না পারলে আমাদের জানাতে পারতেন অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলতে পারতেন। তিনি নদীতে চামড়া ফেলে পরিবেশ দূষণ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদফতরকে বলা হয়েছে।

এদিকে পরিবেশ অধিদফতর রাজশাহীর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে পরিবেশ আইন অনুযায়ী, আসলেই দূষণ হয়েছে কিনা সেটা আগে পরীক্ষা করে দেখতে হয়। এজন্য নদীর যে স্থানে চামড়া ফেলা হয়েছে সেখান থেকে তিন বোতল পানি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই পানি পরীক্ষার জন্য বগুড়ার পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তার প্রতিবেদন আসার পরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।