বীরগঞ্জে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ, দুর্ভোগে একশত পরিবার

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৫নং সুজালপুর ইউনিয়নের ছোট শীতলাই গ্রামের ১নং ওয়ার্ডে জনৈক পোহাতু মিয়ার ছেলে মোঃ মকবুল হোসেন একটি পেয়ারা বাগান করে চতুর দিকে বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে নালা বন্ধ করে মাছ ও হাঁস চাষ করে আসছে।

এরকম অপরিকল্পিত ভাবে বাগানের নামে গ্রামের নালাটি বাঁধাই করে এবং লোহার নেট জাল করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়ে অবৈধ ড্রেন স্থাপনা নির্মাণ করায় বৃষ্টির পানির জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন ছোট শীতলাই গ্রামের প্রায় ১শত পরিবার। বৃষ্টি হলেই বসতবাড়ির ঘরে উঠে পানি, চলাচলের পথেও পানি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কালভাট্, রাস্তাঘাট সহ আাবাদি জমি ।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাড়ির মধ্যে জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ এবং পোকামাকড়ের কামড়ের ভয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান,অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে বৃষ্টি হলেই রান্নাঘরে পর্যন্ত পানি উঠে, চুলা জলে না। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় ডুবে যায় ফসল, ভেসে পালিয়ে গেছে পুকুরের মাছ। এ ব্যাপারে গত ৫ জুলাই -২০২০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

তাদের মকবুল হোসেন নালার রাস্তা বন্ধ করে বাগান ও ফার্ম করার কারণে গ্রামের পানিবন্দি মানুষসহ আরোও অনেক কৃষকের প্রায় ১০০ একর জমির ফসল বিনষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে । এছাড়াও পানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ভুক্তভোগী মোঃ কুদরত-ই-এলাহি সহ এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় আমরা প্রায় ১শত পরিবার খুব কষ্টে আছি।

ঘরে নোংরা পানি ঢুকছে, দুর্গন্ধে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেনা তারা আর বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয় তো আছেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ডালিম সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহেশ চন্দ্র রায় বলেন, দ্রুত সমাধান হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।