বাড়লো যশোর পৌরসভার আয়তন

শহরতলীর কয়েকটি এলাকা যুক্ত হয়ে বেড়ে গেলো যশোর পৌরসভার আয়তন। সীমানা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের উপর আপত্তি না থাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট প্রকাশ করেছে।

এতে যশোর পৌরসভার আয়তন বেড়ে গেলো ৭ বর্গ কিলোমিটার। পৌরসভায় যুক্ত হলো বা শহরে অন্তর্ভুক্ত হলো পুরো উপশহর ইউপি। পাশাপাশি চাঁচড়া এলাকা এবং রামনগর, ফতেপুর, নওয়াপাড়া ও আরবপুর ইউপির আংশিক এলাকা পৌরসভায় যুক্ত হলো।

গেজেট সূত্র মতে, ২০১৯ সালে ২৪ আগস্ট যশোর পৌরসভার সীমানা বাড়িয়ে প্রথম একটি গেজেট প্রকাশ হয়। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ গেজেট প্রকাশ করে। এ বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যানদের লিখিতভাবে জানানো ও শুনানিতে অংশ নিতে বলা হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষে যশোরের ডিসি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ আকারে পাঠান। আর সেই সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় যশোর পৌরসভার সীমানা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে।

১৮৬৪ সালে যশোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই অর্থে যশোর শহর দেড়শ বছরের বেশি প্রাচীন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানেও কখনো যশোর পৌরসভার আয়তন বাড়েনি। এই প্রথম সীমানা বাড়িয়ে বিস্তৃত হচ্ছে পৌর শহরের আয়তন। যশোর পৌর এলাকার বর্তমান আয়তন সাড়ে ১৪ বর্গ কিলোমিটারের একটু বেশি। তবে এবার বেড়েছে এর আয়তন। শহর সংলগ্ন ৬টি ইউপির ৭ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি অংশ পৌর এলাকায় যুক্ত হয়েছে।

যশোর পৌরসভা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, আয়তনে তুলনামূলক ছোট হওয়ায় উন্নয়ন কাজে অনেক দাতা সংস্থা এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় না। মূলত পৌরসভার আয়তনের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ আসে। বর্তমানে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে এই পৌরসভার শত কোটি টাকার উপরে উন্নয়ন কাজ চলছে। পৌরসভার আয়তন বাড়লে এই বরাদ্দ আরো বেশি হতো বলে সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র মতে, পৌরসভার আয়তন বৃদ্ধির এই বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে উন্নয়ন কাজে আরো নতুন নতুন বরাদ্দ আসবে।

যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, সীমানা বাড়ানোর গেজেট তারা হাতে পেয়েছেন। পৌরসভার সীমানা ১৪ দশমিক ৭২ কিলোমিটারের সঙ্গে ৭ কিলোমিটারের একটু বেশি বেড়ে এখন প্রায় ২২ কিলোমিটার হলো।

যশোরের উপশহর ইউপি চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু বলেন, আনুষ্ঠানিক চিঠি তিনি এখনো পাননি। তবে উপশহরের কবরস্থান সংলগ্ন ৩০-৩৫টি পরিবার ছাড়া পুরো ইউপি এখন পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এটা সঠিক।

০৬ আগস্ট, ২০২০ at ১৩:৫৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ডিবি/এমএআর