দুই মেম্বারের সম্মানিভাতা চেয়ারম্যানের পকেটে!

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দুই মহিলা মেম্বারের মাসিক সম্মানিভাতার টাকা বছরের পর বছর ধরে চেয়ারম্যান নিজের পকেটস্ত করে অাসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম মহির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন সেখানকার দুটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার।

ভুক্তভোগী দুজন হলেন, ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোছা. মেমজান এবং ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ছাপাতুন নেছা। এ ব্যাপারে তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম মহি তার ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোছা. মেমজানকে নির্বাচনে জয়লাভের পর গত সাড়ে ৪ বছরে মাত্র ১১ মাসের সম্মানিভাতা দিয়েছেন। তিনি একইভাবে ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ছাপাতুন নেছাকে গত সাড়ে ৪ বছরে মাত্র ৬ মাসের সম্মানিভাতা দিয়েছেন। মাসিক সম্মানিভাতার এসব টাকা ইউপি চেয়ারম্যান মহি নিজেই এতদিন ধরে আত্মসাৎ করে আসছেন।

অভিযোগকারী দুই মহিলা মেম্বার গণমাধ্যমকে জানান, শুধু সম্মানিভাতা আত্মসাতই নয়, চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম মহি শুরু থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলেও তাদের সাথে না নিয়ে নিজেই সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আসছেন। সরকারি কোনো বরাদ্দ আসলে তাও তাদের কখনো জানানো হয়না।। কেউ যদি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে তার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেননা ক্ষমতাসীন দলের এই দাপুটে চেয়ারম্যান। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ভাতাবঞ্চিত মহিলা মেম্বার মেমজান ও ছাপাতুন চেয়ারম্যানের কাছে মাসিক সম্মানিভাতার টাকা চাইতে গেলে চেয়ারম্যান তাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে ফিরিয়ে দেন বলে তারা অভিযোগ করেন।

এ ছাড়া ওই দুই মহিলা মেম্বারের ইউনিটের সাধারণ জনগণের কোনোরকম খোঁজখবরও রাখেননা সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম মহি। এসব বিষয় উল্লেখ করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করে দুই মহিলা মেম্বার এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম মহির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ সঠিক নয়, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাদের অনৈতিক সুযোগ সুবিধা না দেয়ার কারণে তারা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতে ষড়যন্ত্র করছে, এর অংশ হিসেবে এ ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান দাবি করেন।