প্রতিষ্ঠাতার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা ও দুর্নীতির অভিযোগে মাদ্রাসা ঘেরাও!

ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌরসভাধীন ৬৪ বছর পুরনো নারায়ণপুর ডিএস ( কামিল) মাদ্রাসা, প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আব্দুল মোতালেব মাষ্টারের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা সহ দুর্নীতির অভিযোগে আজ (৩০/০৭/২০) বাদ আছর নামাজের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ঘেরাও করে চার গ্রামের যুব সমাজ।

সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার প্রসাশনিক ভবনের নব নির্মিত গেইটে লাগানো নামফলেকের টাইলস ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে যেখানে প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আব্দুল মোতালেব মাষ্টারের নাম ছিল না।

চার গ্রাম যুব সমাজের পক্ষে আতিকুর রহমান আতিক জানান, “প্রতিষ্ঠাতার নাম বাদ দিয়ে মাদ্রাসার প্রসাশনিক ভবনের নব নির্মিত গেইট নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছিল অথচ গেইট নির্মানের জন্য প্রতিষ্ঠাতার ভাতিজা বিল্লাল উদ্দিন চৌধুরী ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেন, পরে এই বিষয়ে আজ সকালে আলোচনা হলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসায় সংশ্লিষ্ট লোকজন তাড়াহুড়ো করে নব নির্মিত গেইটের মাদ্রাসার নাম ফলকের টাইলস ভেঙে ফেলে, আমরা জানতে চাই কেন বারবার প্রতিষ্ঠাতার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

রাজিবুল ইসলাম রাজিব বলেন, “এর আগেও পূর্ব পাশের একাডেমিক ভবনের গেইটের নাম ফলকে প্রতিষ্ঠাতার নাম বাদ দিয়ে মাদ্রাসার নামফলক লাগানো হয়েছিল পরে প্রতিবাদের মুখে তারা প্রতিষ্ঠাতার নাম লাগিয়েছিল।

তাছাড়া মাদ্রাসাস্থ এতিম শিশুদের জন্য যে লিল্লাহ্ বোডিং আছে তার কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
মাদ্রাসার বর্তমান প্রিন্সিপ্যাল রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসার বর্তমান গর্ভনিং বডির সদস্য জেলা পরিষদ সদস্য বোরহান উদ্দিন নসু ভাইয়ের নির্দেশনায় গেইটটি নির্মান করা হয়, আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে বর্তমান গর্ভনিং বডির সভাপতি মাননীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুল ও সদস্যদের সাথে কথা বলবো।”

মাদ্রাসা ঘেরাও কালে উত্তেজিত চার গ্রামের যুব সমাজ এই ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা ও বিভিন্ন অনিয়মের জন্য থলের বেড়ালকে খুঁজে বের করতে ও দোষীদের শাস্তি দাবি করতে স্লোগান দিতে থাকে।

দেশদর্পণ/আক/ডিডি/এমএআর