ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন কুড়িগ্রামের বানভাসিরা

করোনার পর দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় কুড়িগ্রামে ৪ শতাধিক চরাঞ্চলসহ ৪ লক্ষাধিক মানুষের চোখেমুখে ছিল অমানিশার অন্ধকার। বন্যা পরবর্তী ধান বীজ সহ সবধরনের পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা পেয়ে আনন্দে এখন নির্বাক বানভাসি মানুষেরা।

চর পার্বতীপুর সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের একটি দূর্গম এলাকা। চারদিকে শুধু পানি আার পানি । মর্জিনা বেগম নিজস্ব পারিবারিক নৌকায় বেধেছে সংসার। ১ মাসের দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় তাদের চোখেমুখে শুধুই হতাশার ছায়া। করোনার পাশাপাশি বন্যার এই দুর্যোগময় সময়ে কয়েকবার ত্রাণ সহায়তা পেলেও তা যথেষ্ট ছিলনা। ঠিক এমন এক সময়ে জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম খাদ্য সামগ্রী সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে উপস্থিত হন এই দূর্গম চরে। মর্জিনার পরিবারসহ অনেকেই পেয়ে যান খাদ্যসামগ্রী সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এ যেন মেঘের আড়ালে সূর্যের আলোর ঝলকানি। প্রধানমন্ত্রীর এই সহায়তা পেয়ে বানভাসিরা আবেগে আপ্লূত হয়ে পড়েন।

এসময় জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় আরও সাহায্য ছাড়াও ঈদে কোরবানির মাংশ পাওয়ার নিশ্চয়তা দেন। একথা শুনে মর্জিনার পরিবার সহ আবেগে আপ্লূত হয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন জেলাপ্রশাসকের দিকে। কেননা ঈদে নতুন জামা কাপড় তো দুরের কথা, ঈদেরদিন পেটভরে খাওয়ারও যেখানে ছিলনা নিশ্চয়তা সেখানে চরের এই বানভাসি মানুষদের ঈদেরদিন একটুকরো মাংশ তাদের জন্য স্বপ্নের মতো। জেলা প্রশাসকের কথা শুনে বন্যার্তরা এখন আশার আলোর পাশাপাশি স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।

করোনার পর দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় দিশেহারা চর পার্বতীপুরের মর্জিনা সহ চার লক্ষাধিক মানুয। নির্বাক এই মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি পুনর্বাসন সহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কুড়িগ্রামের জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে রয়েছে সরকার। সবধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সফল এই সরকার আগামীতেও কুড়িগ্রামের বানভাসিদের জন্য পুনর্বাসনের সকল পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা ইউএনও মইনুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব, পিআইও ফিজানুর রহমান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিবাহী প্রকৌশলী সায়হান আলী প্রমুখ।

দেশদর্পণ/আক/ডিডি/এমএআর