রাজশাহীর হাটে গরুর দাম বেশি : লোকশানে ব্যবসায়ী

রাজশাহী সিটি পশুহাটে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু আমদানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১ টার পর থেকে আসতে শুরু করে কোরবানির পশু। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে কোরবানির পশুর সংখ্যা। স্বাদ ও সাধ্যের সমন্বয়ে অনেকেই কিনেছেন পছন্দের কোরবানির পশু।

তবে ক্রেতা সঙ্কটে ভুগছে বড় গরুর মালিকরা। তাই দামও কম। সেই তুলনায় পশুহাটে ছোট গরুর দাম বেশি। তবে কোরবানির শেষ সময়ে বেশ জমেছে কেনা-বেচা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী সিটি পশুহাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।
অন্যদিকে, যাদের বাড়িতে কোরবানির পশু রাখার সমস্যা ও যাদের কোরবানির পশু পছন্দ হয়নি তারা গতকাল বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার কিনবেন। অনেকেই পশু রাখার সমস্যাকে পাত্তা না দিয়ে করোনারভাইরাসের আক্রান্তের ভয়ে কমবেশি করে কিনে নিচ্ছেন কোরবানির পশু।

গরু বিক্রেতা আউয়াল বলছেন, আইডিয়া করছি ৬ থেকে সাড়ে ৭ মণ মাংস হবে। এমন গরুর দাম লাখ টাকার নিচে দাম বলছে ক্রেতারা। বাজার ভালো থাকলে এক লাখ ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দাম লাগতো। কিন্তু সেই গরুর দামই বলছে না ক্রেতারা। অনেকেই দায়সারা দাম বলছেন। কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে অল্প দামে বিক্রি করছেন গরু।

তিনি আরও জানান, বিক্রি না হলে একেটি গরু দিনে দুই থেকে ২৫০ টাকার খাবার খাবে। এতে করে লোকসানের পাল্লা আরও ভারি হবে। তার ওপরে আবার দাম নেই। ঈদের পরে দাম বাড়বে এমন ভরসায় গরু রাখা সম্ভব না। গরু ফিরিয়ে নিলে লোকসান বাড়বে। এমন শঙ্কায় অনেকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন গরু।

মোঃ শরিফুল ইসলাম নামের অপর এক বিক্রেতা জানান, চারটা গরু নিয়ে এসেছিলাম। দুইটা বিক্রি করেছি। বড় গরুটা দামে মিলছে না। ১ লাখ ২০ হাজার হলে বিক্রি করবো।

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে ১ লাখ টাকায় কিনেছিলাম। তিন মাস লালন-পালন করেছি। গরুর মাংস হিসেবে ১ লাখ ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা দাম লাগবে। বাজার খারাপ, তেমন দাম বলছে না ক্রেতারা। একজন এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বলেছে।

এদিকে, অল্প দামে গরু কিনতে পেরে বেশ খুশি নগরীর কাজলা অক্ট্রয় মোড় এলাকার মোঃ আলতাফ হোসেন । তিনি জানান ৪৫ হাজার টাকায় দেশি গরু কিনেছেন তারা। তিনি মনে করেন, বাজার ভালো থাকলে এই গরুটির দাম লাগতো প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু জানান, ঈদের আগের দিন শুক্রবারও হাট বসবে। এছাড়া হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দাম বেশি।