সফিউল বারী বাবুর পারিবারিক কবরস্থানে অশ্রুসিক্ত শেষ বিদায়

স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সফিউল বারী বাবুর দ্বিতীয় জানাজা শেষে রামদয়ালের পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লক্ষ্মীপুরে রামগতির আবদুল হাদি কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় কেন্দ্রীয়,জেলা,উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেছাসেবকদল, কৃষকদল,ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। বাধ যায়নি সর্বস্তরের মানুষও। এসময় পুরো মাঠজুড়ে এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নেতাকর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে অংশে নেয়া হাজারো মানুষ।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও বিএনপির মহাসচিবসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অঝোরে কাঁদলেন। এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিল না। সে ছিল বিএনপির প্রাণ। দলের অসংখ্য নেতাকর্মী তার হাতে তৈরি হয়েছে।

বিএনপিতে এমন বুদ্ধিমান, পড়াশোনা জানা, ত্যাগী নেতা খুব কমই আছে। বাবু চলে যাওয়ায় আমরা একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। রাজনীতিতে বাবু কখনো পেছন ফিরে তাকাই নাই। সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তার জানাজায় আমি অংশ নেব কখনো কল্পনা করতে পারিনি। গতকাল থেকে ছেলেটা কিছুটা অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই আমরা ছুটে গিয়েছি হাসপাতালে। সবাই খোঁজ খবর নিচ্ছি। তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছি। অনেক চেষ্টা করেছি বাবুকে বাঁচানোর জন্য। পারলাম না।

অপরদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত চারটার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুর মৃত্যু হয়। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন শফিউল বারী। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারটার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।

দেশদর্পণ/আক/ডিডি/এমএআর