রায়পুরে মৎস্য উৎপাদনে সাফল্য

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পৌর শহরে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের এক সময়ের বৃহত্তম ফিস হ্যাচারী বর্তমানে মৎস্য অধিদপ্তরের সর্ববৃহৎ ফিস হ্যাচারী মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উৎপাদনে ২০২০ সালে প্রথম সাত মাসে রেণু পোনা ও দেশী প্রজাতির পোণা বিক্রি বাবদ ৬১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫শত ৯৯ টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হয়। জনবল সংকটের মাঝেও এ সাফল্য অর্জন করায় সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে এ সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।

চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে উৎপাদন শুরু এবং জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার কেজি রেণু, ২২ লক্ষ পোণা ও ১ হাজার কেজি মিশ্র মাছ উৎপাদন হয় উক্ত হ্যাচারীতে।

হ্যাচারীর উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিধ মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার (২৮ জুলাই) মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদককে জানান, হ্যাচারীতে নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষিজ পণ্যের নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখার নিমিত্তে হ্যাচারীর সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও মাষ্টাররোলের শ্রমিকদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে হ্যাচারীতে উৎপাদনের এই নতুন রেকর্ড অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

পর্যাপ্ত লজিষ্টিক সাপোর্ট যেমন প্রয়োজনীয় জনবল (বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৮ জনের মধ্যে কমপক্ষে ২জন, সুপারভাইজার ৬ জনের মধ্যে ৪ জন, ফিসারম্যান ৮ জন, পাম্প অপারেটর ২ জন, পদায়ন, হাজামজা পুকুর সংস্কার (প্রায় ২৬ টি), রেনু ও ব্রুড মাছ পরিবহন করার জন্য একটি পিকআপ এবং মনোসেক্স তেলাপিয়া/ক্যাট ফিস হ্যাচারী ইউনিট স্থাপন করা হলে এই হ্যাচারী থেকে বৎসরে প্রায় ২ (দুই) কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে জানান এ কর্মকর্তা।

দেশদর্পণ/আক/ডিডি/এমএআর