শৈলকুপায় খাওয়ার অযোগ্য চাল ভিজিএফ কার্ডধারীদের দেওয়া হচ্ছে

প্রথম দর্শনে মনে হবে গম বা রঙ্গিন পাথর কুচি। কিন্তু না। এগুলো ঈদ উপলক্ষ্যে হতদরিদ্রদের দেওয়া ভিজিএফ চাল শৈলকুপার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিজিএফ কর্মসুচিতে এ রকম নিম্নমানের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া গ্রামের হতদরিদ্রদের অপুষ্ট ও জটাধরা চাল দেওয়া হয়। চালের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পাথরের কুচি।

এ রকম খাওয়ার অযোগ্য চাল বিতরণের ফলে উপকারভোগীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন সারুটিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ওয়াজেদ আলী। তিনি অভিযোগ করেন আমার জীবনে এমন নিম্নমানের চাল দেখিনি। মানুষ এই চাল নিয়ে গরু ছাগলের ভাত রান্না করে খাওয়াচ্ছে।

নিম্নমানের চাল বিতরণের কথা স্বীকার করেছেন শৈলকুপার ওসিএলএসডি রাশেদ আহম্মেদ রিপন। তিনি বলেন, হরিণাকুন্ডু খাদ্যগুদাম থেকে এ রকম একশ মেট্রিক টন চাল শৈলকুপায় পাঠানো হয়। সেই চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে প্রায় শেষের পথে। তিনি বলেন এই নিম্নমানের চাল তো আর গুদামে রাখা যায় না।

খাদ্য অধিদপ্তরের সুত্রগুলো জানায়, সরকার এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে জবা ধানের নিম্নমানের চাল কিনেছে। সেই চাল শৈলকুপার খাদ্যগুদামে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল ইসলাম মামুন জানান, বাধ্য হয়ে এই চাল আমাদের নিতে হচ্ছে। সরকার এ ধরণের চাল এলসির মাধ্যমে কিনলে আমাদের করার কি আছে।

তিনি বলেন চাল বিতণের পর উপকারভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিম্নমানের চালের কথা জানাচ্ছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। শৈলকুপার ইউএনও সাইফুল ইসলাম জানান, এই চাল গুদামে রাখার তো কোন সুযোগ নেই। তাই বাধ্য হয়ে বিতরণ করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, হয়তো আমি যোগদানের আগেই এমন চাল রাখা হয়েছে।