পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য সেবা সবিচ এম এ মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এম এ মান্নান জানান, মঙ্গলবার সকালে ডা. আবুল কালাম আজাদ নিজে গিয়ে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে।

পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর নতুন মহাপরিচালক হিসেবে কে দায়িত্ব নেবেন সে ব্যাপারে ইতোমধ্যে আলোচনা চলছে। তবে বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন।

এর আগে রবিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর বিষয়ক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ কে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলতে কী বোঝানো হয়েছে এবং রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কী কী বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রিজেন্টের মো. সাহেদ করিমের বিভিন্ন প্রতারণার খবরের বিষয়ে আগে অবহিত ছিল না। শনিবার (১১ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি গ্রুপের প্রতারণা বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ব্যাখ্যা প্রদান করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জাম, পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি নানা অভিযোগ ওঠে প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন পাওয়া রিজেন্ট হাসপাতাল এবং নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজির নজিরবিহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রতারণার পর মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাজে সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এরপর থেকেই মূলত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়।

এর মধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। এমন বক্তব্যের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মহাপরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। তিনদিনের মধ্যে জবাবও দিতে বলা হয়। মহাপরিচালকও নির্দিষ্ট সময়সীমার শেষদিনে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিবের কাছে নোটিশের লিখিত জবাব দিয়েছেন।