নাইক্ষ্যংছড়িতে গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আর্দশগ্রাম এলাকার অভ্যান্তরিন যাতায়াতের গ্রামীণ সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে পড়েছে।

গেল ১০/১৫ বছর ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে এই অভ্যান্তরিন গ্রামীণ সড়কটি। রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি প্রধান সড়কের সংযুক্ত আর্দশগ্রামের অভ্যান্তরিন গ্রামীণ সড়কের আধ কিলোমিটার দূরত্বে অর্ধশতাধিকের অধিক পরিবারের বসবাস। এই গ্রামীণ কাচাঁ রাস্তা দিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন যাতায়তে আসা-যাওয়া করে থাকে। তার মধ্যে এই যাতায়তের রাস্তার অন্যতম সমস্যা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বর্ষা মৌসুমে প্রতি বছর হাঁটতে গিয়ে চরম দূর্ভোগে স্বিকার হতে হচ্ছে ।
আরও জানাযায়, স্থানিয় নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা এই অবহেলিত অভ্যান্তরিন গ্রামীণ সড়কটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিবারে ভোট আদায় করে নেই। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না কেউ। তার ফলে এই অবহেলিত যাতায়তের কাচাঁ রাস্তাটি এখনো সংস্কারের মুখ দেখেনি।

চলতি বছরে বন্যাবর্ষণের দীর্ঘ সময় পার হলেও যাতায়াতের এ রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। যার ফলে বিশাল এলাকার লোকজনকে নানা কষ্ট আর দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত কাজকর্মে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। এটি অতিব গুরুত্বপূর্ণ একটি সদর ইউনিয়নের অভ্যান্তরিন গ্রামীণ যাতায়তের রাস্তা । এ কাচাঁ রাস্তা বা সড়কটিতে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় আর্দশগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ছালেহ আহাম্মদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,হাজী এম,এ কালাম সরকারি কলেজের পড়ুয়া অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এই আর্দশগ্রামে । তা ছাড়া রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি প্রধান সড়কের সংযুক্ত অভ্যান্তরিন গ্রামীণ এই রাস্তাটি। নানা কষ্ট আর দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ থেকে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এলাকার মানুষ বিষয়টি এবার দেখছেন ভিন্নভাবে। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহেলার দিকে আংগুল তুলছেন অনেকেই।

সদর ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার আরেফ উল্লাহ ছুট্টু জানান, উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে পরিষদে অনেক মিটিং হয়। আমি অনেক মিটিং এ সড়ক সংস্কারের কথা অনেক বার উত্থাপন করেছি। পরিষদে উন্নয়নের বরাদ্দ আসলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কার করতে গিয়ে এই অভ্যান্তরিন সড়কটা দিন দিন মরণ ফাঁদে পরিণতি হচ্ছে। যে কোন উপায়ে এবারে এই রাস্তার জন্য বরাদ্দ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন ।

এলাকার কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো,জয়নাল জানান, স্কুল ও বাজারের যোগাযোগের জনগুরুত্বপূর্ণ এ গ্রামীণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় কাদাঁ মাটি ও খানাখন্দকসহ অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রামবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়তে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়িত। এমনকি ঐ সড়কে চলাচলরত হরেক রকমের যানবাহন চলাচল করতে দারুনভাবে হিমশিম খাচ্ছে।

স্থানীয় লোকজনেরা জানান, স্থানিয় ইউপি নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করে থাকেন। জনপ্রতিনিধিরা চেয়ারম্যান-মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর সেই সংস্কারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন না। আগামীতে ভোট চাইতে আসলে তার জবাব ভিন্ন ভাবে দিতে হবে। বন্যার দীর্ঘ মাস পার হলেও রাস্তা সংস্কার নিয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো নীরব থাকায় হতাশ হয়ে পড়েন।

দেশদর্পণ/আক/দেরু/এমএআর